1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মানসিক প্রতিবন্ধীরাও ভোট দেবেন

১৬ এপ্রিল ২০১৯

হাজার হাজার মানসিক প্রতিবন্ধী জার্মানের ভোট দেয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করেছে জার্মানির সর্বোচ্চ আদালত৷ আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-র সংসদীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন তাঁরা৷

https://p.dw.com/p/3Gsei
EU Parlamentswahl 25.05.2014 Deutschland
ছবি: picture-alliance/dpa

আশি হাজারের বেশি বুদ্ধি এবং মানসিক প্রতিবন্ধী প্রাপ্তবয়স্ক জার্মান ভোট দেয়ার অধিকার পেলেন৷ আসন্ন ইইউ নির্বাচনে ভোট দেয়ার মাধ্যমে সেই অধিকার চর্চা শুরু করতে পারবেন তাঁরা৷

জার্মানির সাংবিধানিক আদালত সোমবার মানসিক প্রতিবন্ধীদের ভোট দেয়ার অধিকারের পক্ষে রায় দিয়েছেন৷ যেসব বুদ্ধি এবং মানসিক প্রতিবন্ধীর দেখভালের জন্য আদালতের নির্দেশিত অভিভাবক রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই রায় প্রযোজ্য হবে৷ শাস্তি হিসেবে যাঁরা মানসিক ক্লিনিকে রয়েছেন, তাঁরাও এই রায়ের ফলে ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন৷

জার্মান সংসদের বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সবুজ দল, বাম দল এবং উদারপন্থি   এফডিপি মানসিক প্রতিবন্ধীদের নির্বাচনের সুযোগ দেয়ার দাবিতে নেয়া আইনি উদ্যোগে সমর্থন জুগিয়েছিল৷

প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে জার্মানির হাইকোর্ট ঘোষণা দিয়েছিল যে, প্রচলিত যে আইন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের ভোট দেয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছিল তা অসাংবিধানিক৷ সেই ঘোষণার পর মার্চে জার্মান সংসদ বুন্ডেসটাগে ভোটাধিকার সংক্রান্ত আইন পরিবর্তনের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়৷ কিন্তু জার্মানির ক্ষমতাসীন জোট জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের খ্রীষ্টীয় গণতন্ত্রী দল এবং দলটির সহযোগী দল খ্রীষ্টীয় সামাজিক জোট ও সামাজিক গণতন্ত্রী দল সেই প্রস্তাব একরকম থামিয়ে দেয়৷ 

জার্মানির জোট সরকারের এমন অবস্থানের যাঁরা সমালোচনা করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম সমাজ কল্যাণ বিষয়ক অ্যাসোসিয়েশন ভিডিকে জার্মানির প্রেসিডেন্ট ভেরেনা বেন্টেল৷ তিনি বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কোনো বাধা হতে পারে না৷'' সোমবার জার্মানির সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের আগে একথা বলেছিলেন তিনি৷

প্রতিবন্ধীদের সহায়তাপ্রদানকারী সংস্থা ‘লেবেনসহিল্ফে' আদালতের রায়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে৷ প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে লিখেছে, ‘‘প্রতিবন্ধীদের এবং জার্মানির গণতন্ত্রের জন্য এটা আরেক সাফল্য৷ এর মাধ্যমে নির্বাচনি আইনে বৈষম্যের ইতি ঘটলো৷''

এআই/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান