মার্কিন সংস্থায় চীনা হ্যাকিং, জানাল মাইক্রোসফট
৩ মার্চ ২০২১গলদটা মাইক্রোসফটের ই-মেল সার্ভার সফটওয়্যারে ছিল। সেটাকে কাজে লাগিয়ে চীনা হ্যাকাররা মার্কিন সংস্থাগুলিকে টার্গেট করেছে। মাইক্রোসফটের দাবি, যে হ্যাকাররা এই কাজ করছে, তারা অত্যন্ত দক্ষ। তবে তারা যাতে হ্যাক করতে না পারে, তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং পুরো ব্যবস্থা আপগ্রেড করা হয়েছে।
সম্প্রতি একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে উদ্ধৃত করে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, চীনা সরকারের মদতপুষ্ট হ্যাকাররা মাস কয়েক আগে মুম্বইয়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটিয়েছিল। চীন এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও মহারাষ্ট্রের বিদ্যুৎমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই রিপোর্ট একেবারে ঠিক।
এই অভিযোগ সত্য হলে দক্ষ হ্যাকাররা যে কী করতে পারে, তা বোঝা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মাইক্রোসফটের অভিযোগও রীতিমতো গুরুত্বপূর্ণ।
কীভাবে হ্যাকিং হয়েছে
মাইক্রোসফট এই হ্যাকরদের নাম দিয়েছে হাফনিয়াম। তারা মাইক্রসফটের এক্সচেঞ্জ সার্ভিসে কারিকুরি করে ভিতরে ঢুকে পড়ে। এর ফলে তারা কোম্পানির ই-মেল ও ক্যালেন্ডারে অ্যাকসেস পেয়ে যায়। তবে তারা মাইক্রোসফটের ক্লাউডে ঢুকতে পারেনি। তাই ব্যক্তিগত ই-মেল হ্যাক করতে পারেনি।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে, হ্যাকাররা চীনের হলেও তারা একটি মার্কিন বেসরকারি সার্ভার লিজ নিয়েছিল। তবে কোন কোন মার্কিন সংস্থাকে টার্গেট করা হয়েছিল, সে সম্পর্কে মাইক্রোসফট কিছু জানায়নি।
এই হ্যাকিং-এর বিষয়টি প্রথমে নজরে আসে সাইবার সুরক্ষার সঙ্গে যুক্ত সংস্থা ভলেক্সিটির। তারাই বিষয়টি মাইক্রোসফটের নজরে আনে। তারা জানায়, দেরি হলে মাইক্রোসফট নতুন সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু করার আগেই হ্যাকাররা অনেক ক্ষতি করে দিতে পারত।
গত কয়েক বছর ধরে অ্যামেরিকা সাইবার-সুরক্ষার উপর জোর দিয়েছে। কয়েক বছরে বারবার মার্কিন সংস্থা ও সরকারের বিভিন্ন অফিসে হ্যাকিং হয়েছে বা চেষ্টা হয়েছে। গত বছরই সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন, চীন সমানে মার্কিন সংস্থা ও সরকারি অফিসে হ্যাকিং করে তথ্য জোগাড় করতে চাইছে। ২০১৩ সালে একটি মার্কিন সংস্থা অভিযোগ করেছিল, চীনের সেনাবাহিনী ১৫০ বার অ্যামেরিকায় বিভিন্ন সংস্থার উপর হ্যাকিং করার চেষ্টা করেছিল।
জিএইচ/এসজি(এপি, রয়টার্স)