মার্কিন-সৌদি জোট বিপন্ন?
১৪ মে ২০১৫শিয়া ইরানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সমাজের সম্ভাব্য পরমাণু চুক্তিকে কেন্দ্র করে গভীর সংশয়ে ভুগছে পারস্য উপসাগরীয় সুন্নি দেশগুলি৷ ক্যাম্প ডেভিডে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে ‘শীর্ষ সম্মেলনে' অনুপস্থিত বেশিরভাগ রাষ্ট্রপ্রধান৷ বিশেষ করে সৌদি বাদশাহ সালমানের অনুপস্থিতি সবচেয়ে আলোচিত বিষয়৷
এক মহলের মতে, পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলি অ্যামেরিকার সঙ্গে এক স্থায়ী সামরিক জোট গঠন করে আঞ্চলিক সংকটে মার্কিন সামরিক শক্তির ফায়দা তুলতে চাইছে৷ সে ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনকে বাধ্যতামূলকভাবে বার বার সশস্ত্র সংগ্রামে জড়িয়ে পড়তে হবে৷
এমন প্রেক্ষাপটে এই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের প্রতি অ্যামেরিকার ভবিষ্যৎ নীতি কী হওয়া উচিত, তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক চলছে৷ সুন্নি দেশগুলির প্রতি অ্যামেরিকার ‘অন্ধ' নীতির সমালোচনা করছেন অনেকে৷ তাঁদের মতে, নাইন ইলেভেনের সৌদি আততায়ীদের থামানো যায়নি৷ তার পরেও মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি কার্যত পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলির হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে৷ এবার ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে আখেরে অ্যামেরিকারই লাভ হবে৷ সে দেশের প্রভাবের ক্ষেত্র আরও বড় হবে৷ সাংবাদিক সানাম শান্তিয়েই এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন৷
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর কর্মকর্তা সারা লিয়ে হুইটসন অ্যামেরিকার সঙ্গে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলির সহযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন৷
অন্যদিকে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলির মধ্যেও ওবামা-র নীতি সম্পর্কে ক্ষোভ বাড়ছে৷ বাদশাহ সালমানের নেতৃত্বে সৌদি আরব আঞ্চলিক পরাশক্তি হিসেবে বার বার নিজস্ব শক্তি জাহির করছে৷ ইয়েমেনে সাম্প্রতিক সেনা অভিযান তারই দৃষ্টান্ত৷ এমনকি পরমাণু শক্তি তথা পরমাণু অস্ত্র আয়ত্ত করার বিষয়েও ভাবনা-চিন্তা করছ সে দেশ৷ ফলে ওয়াশিংটনকে ভেবে-চিন্তে সাবধানে পদক্ষেপ নিতে হবে৷ সৌদি পরমাণু নীতি সম্পর্কে প্রতিবেদন শেয়ার করছেন অনেকে৷
কৌশলগত নীতির বাইরে আরও একটি বিষয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসে পড়ছে৷ অনেকের দাবি, ওয়াশিংটনকে অবশেষে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলির মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে সোচ্চার হতে হবে৷ মত প্রকাশের অধিকার, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা, ব্লগারদের প্রতি অবিচারের মতো বিষয়েও খোলামেলা আলোচনা করার সময় এসে পড়েছে৷ এ বিষয়ে ওবামার প্রতি বাহরাইনের এক মানবাধিকার কর্মীর খোলা চিঠি শেয়ার করেছেন বহু মানুষ৷
সংকলন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ