‘ধর্মীয় উস্কানি দিয়েছেন’
১১ এপ্রিল ২০১৩আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে কারওয়ান বাজারের কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করা হয় বৃহস্পতিবার সকালে৷ গ্রেফতারের পর তাঁকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি৷ তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা হয়েছে৷ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু জানিয়েছেন, মাহমুদুর রহমান ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন এবং ধর্মীয় উসকানি দিয়েছেন৷ মাহমুদুর রহমানের পত্রিকা আমার দেশেই ব্লগারদের কথিত ধর্ম অবমাননার প্রতিবেদন ছাপা হয়৷
মাহমুদুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া৷ এদিকে তাঁকে মুক্তি না দিলে লাগাতার হরতালের ঘোষণা দিয়েছেন নেজামে ইসলামীর চেয়ারম্যান এবং হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী৷ গণজাগরণ মঞ্চ এই গ্রেফতারে সন্তোষ প্রকাশ করেছে৷
বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতারের পর মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার বিরোধী দলকে দমন-পীড়ন কিনা, ডয়চে ভেলের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে৷ তাই পুলিশই মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে ভালো বলতে পারবে৷ কিন্তু তিনি ধর্মীয় উসকানি এবং রাষ্ট্রদোহিতার মত অপরাধ করেছেন৷ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারা ভাঙচুর এবং নাশকতায় যে জড়িত, তার প্রমাণ আছে৷ তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব তার কর্মীদের প্রকাশ্যেই বলেছেন, সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি. অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এবং ওষুধের গাড়িতে হামলা চালানো যাবেনা৷ তাঁর এই বক্তব্যই প্রমাণ করে, এর বাইরে সবখানে হামলার অনুমোদন দিয়েছেন তিনি৷
নির্বাচন প্রশ্নে তিনি বলেন, বর্তমান সংবিধানের অধীনে যথা সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ আর এই নির্বাচন বা অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে সব সময় আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছে সরকার৷ এই আলোচনা সংসদ বা সংসদের বাইরে হতে পারে৷
তিনি মনে করেন, নির্বাচনের আগেই রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত হবে৷ তাঁর মতে বিএনপি এখন আসলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করছেনা৷ তারা যুদ্ধাপরাধী এবং জামায়াত শিবিরকে রক্ষায় আন্দোলন করছে৷ নির্বাচনের আগেই কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর শাস্তি হয়ে গেলে আন্দোলনও থেমে যাবে৷ বিএনপি তখন আন্দোলন ছেড়ে নির্বাচনে অংশ নেবে বলে মনে করেন হানিফ৷