মিউনিখ চলচ্চিত্র উৎসবের ৩০তম বার্ষিকী
১৫ জুন ২০১২গত বছর ২৯তম বার্ষিকীতে দেখানো হয়েছিল ২৪০টি ছবি৷ অর্থাৎ, এবার ছবির সংখ্যা কমানো হয়েছে৷ কেন ছবির সংখ্যা কমে গেল? এই প্রশ্নের উত্তরে ফেস্টিভাল ডিরেক্টর ডিয়ানা ইলিনে জানান, ‘‘৩০তম বার্ষিকী নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ৷ তবে আমার মনে হয়, গতবছর আমরা অনেক বেশি ছবি দেখিয়েছিলাম৷ সাধারণ দর্শকরা ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল৷ অনেকেই বহু ভালো ছবির প্রতি শেষ পর্যন্ত আর আগ্রহ দেখায়নি৷'' মিউনিখের বাভারিয়া ব্রডকাস্টিং-এর সদর দপ্তরে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথাগুলো বলেন৷
এই চলচ্চিত্র উৎসবের প্রথম দিন দেখানো হবে ক্যানাডার পরিচালক কেন স্কটের ‘স্টারবাক' ছবিটি৷ ডিয়ানা ইলিনে জানান, ‘‘এ বছর আমরা অন্যভাবে ছবিগুলো সাজিয়েছি৷ তরুণ অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং পরিচালকদের ছবি আরো আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমরা৷''
বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে যে ইন্টারনেটের কারণে তরুণ প্রজন্ম অনলাইনে বেশি খোঁজ খবর নিচ্ছে৷ সেই তুলনায় প্রবীণরা অপেক্ষা করছে নিউজলেটারের জন্য৷ তরুণ প্রজন্মের কথা ভেবে ফিল্ম ফেস্টিভালের অনলাইন-পাতায় দেয়া হচ্ছে অসংখ্য তথ্য৷ এমনকি টিকিট সম্পর্কেও নানা তথ্য দেয়া হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে৷ তরুণ-তরণীদের এবারের চলচ্চিত্র উৎসবে আগ্রহী করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে এভাবেই৷
এ বছরের ছবির মধ্যে বাস্তবধর্মী ঘটনা নিয়ে তৈরি ছবির ওপর জোর দেয়া হচ্ছে৷ ‘নিউ হিরোজ' এবং ‘দারিদ্র আর অভিবাসী' – এসব ঘটনা নিয়ে যেসব ছবি তৈরি করা হয়েছে সেগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে৷ ‘নিউ হিরোজ' প্রসঙ্গে ডিয়ান ইলিনে বলেন, ‘‘আমাদের সমাজে নিউ হিরোজ হচ্ছে তারা, যারা সমাজের পিছিয়ে পড়া, অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হওয়ার পরও চেষ্টা করে চলেছে সবার দৃষ্টি আকর্ষণের এবং তারা সফলও হচ্ছে৷
এ ধরণের ঘটনা নিয়ে তৈরি অনেকগুলো ছবির মধ্যে একটি হচ্ছে ‘বিস্ট অফ দ্য সাউদার্ন ওয়াইল্ড'৷ ২০০৫ সালে অ্যামেরিকার নিউ অরলিয়েন্সে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘ক্যাটারিনা'-র ক্ষয়ক্ষতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে ছবিটি৷
মিউনিখ চলচ্চিত্র উৎসবে যেসব তারকারা আসবেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছে হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেলানি গ্রিফিথ৷ তিনি আসবেন ‘সিনে মেরিট অ্যাওয়ার্ড' পুরস্কার গ্রহণ করতে৷ সেই উপলক্ষ্যে মেলানি গ্রিফিথ'এর চারটি ছবি ‘সামথিং ওয়াইল্ড', ‘ওয়ার্কিং গার্ল', ‘স্ট্রর্মি মান্ডে' এবং ‘টু মাচ' দেখানো হবে৷
এছাড়া, জার্মান চলচ্চিত্রকার রাইনার ভের্নার ফাসবিন্ডার'এর ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকীও পালন করা হবে এই ফিল্ম ফেস্টিভালে৷ ১৯৮২ সালের জুন মাসে তিনি মারা যান৷ ফাসবিন্ডার'এর সাতটি ছবিও দেখানো হবে মিউনিখ চলচ্চিত্র উৎসবে৷ বার্লিনালে'র পর এটাই হচ্ছে জার্মানির দ্বিতীয় বৃহত্তম ফিল্ম ফেস্টিভাল৷
এমজে / ডিজি (ডিপিএ)