1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজমিশর

মিশর, আমিরাত ও ইসরায়েলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক

২৩ মার্চ ২০২২

মিশরে বৈঠকে মিলিত হলেন তিন দেশের শীর্ষ নেতারা। রাশিয়া-ইউক্রেন থেকে শুরু করে আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হলো।

https://p.dw.com/p/48tle
আমিরাত, মিশর ও ইসরায়েলের শীর্ষ নেতার বৈঠক। ছবি: Egyptian Presidency Media Office/AP/picture alliance

ইসরায়েলের কাছে এই বৈঠক আরো একটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তারা ইরান-বিরোধী জোটকে শক্তিশালী করতে চাইছে। ইসরায়েলের মিডিয়া জানিয়েছে, সোম ও মঙ্গলবার এই আলোচনায় অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল, ওই অঞ্চলে ইরানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব।

মিশরের প্রধানমন্ত্রী আবদেল ফাতাহ আল সিসি, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট এবং আমিরাতের কার্যত শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান বৈঠক করেন।

কী নিয়ে আলোচনা হলো?

মিশরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তিন নেতা তেল-গ্যাসের বাজারের স্থিতাবস্থা ও খাদ্যসুরক্ষা নিয়ে আলোচনা করেছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববাজারে অশোধিত তেলের দাম বেড়ে গেছে। গমের দামও বেড়েছে।

আমিরাতের সরকারি সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে তিন নেতার কথা হয়েছে। তাছাড়া তিন দেশের কাছে চিন্তার বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

ইরান নিয়ে

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, তিন শীর্ষনেতাই সব পর্যায়ে সম্পর্ক জোরদার করা নিয়ে কথা বলেছেন। তবে তারা ইরানের নাম নেয়নি।

কিন্তু ইসরায়েলের ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী তেল আভিভে বলেছেন, ইরানের চক্র ভাঙতে তারা যে কোনো দেশের সঙ্গে হাত মেলাতে প্রস্তুত। তারা দেখতে পাচ্ছেন, এই চক্র শক্তিশালী হচ্ছে। তাই ইসরায়েলও অন্য দেশের সঙ্গে একজোট হয়ে আর্থিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াবে।

পশ্চিমা দেশগুলি এখন ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির নবীকরণ করতে চাইছে। বেনেট অবশ্য এই চুক্তির ঘোর বিরোধী।

ইরানের শক্তির মোকাবিলা করতে মিশর, আমিরাত ও ইসরায়েল এই তিন দেশ নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াচ্ছে।

২০২০ সালে আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। মিশরের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক তার অনেক আগে থেকেই ছিল।

জিএইচ/এসজি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)