মিশিগানে ছাত্রের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের মামলা
২ ডিসেম্বর ২০২১১৫ বছরের ইথান ক্রাম্বলে মিশিগানের একটি স্কুলে মঙ্গলবার বন্দুক নিয়ে ঢুকে পড়ে। ক্লাসে ঢুকে এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে সে। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তিনজনের। পরে আরো এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। আহত সাতজন। এক ছাত্রীর অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় শেরিফ জানিয়েছেন, হামলাকারীর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। তাকে নাবালক হিসেবেও দেখা হবে না। পরিকল্পনা করেই সে এ কাজ করেছিল বলে তিনি জানিয়েছেন।
ঘটনার পরেই আক্রমণকারী ছাত্রকে জুভেনাইল জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বুধবার তাকে সাধারণ জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বিচারও হবে সাধারণ কোর্টে। জুভেনাইল আদালতে নয়। কারণ, তাকে নাবালক হিসেবে দেখা হবে না বলে আদালত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শেরিফ জানিয়েছেন, হামলাকারীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের মামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে হত্যা, হত্যার চেষ্টা এবং অস্ত্র রাখার আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অস্ত্র সুরক্ষিত রাখতে না পারার ধারায় হামলাকারীর বাবা-মায়ের বিরুদ্ধেও মামলা হতে পারে। বস্তুত, গত ২৬ নভেম্বর হামলাকারীর বাবা ছেলেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল কিনে দিয়েছিলের। তা নিয়েই হামলা চালায় ছেলেটি। এই ধরনের অস্ত্র বাড়িতে রাখতে হলে তা সুরক্ষিত রাখতে হয়। কার্তুজও আলাদা রাখতে হয়। এ ক্ষেত্রে সে নিয়ম পালন করা হয়নি বলে পুলিশের অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, আক্রমণকারী পরিকল্পনা করেই হামলা চালিয়েছিল। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ডিজিটাল ডেটা সংগ্রহ করেছে পুলিশ। কিন্তু কেন সে আক্রমণ চালালো তা সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করেনি পুলিশ।
আহতদের মধ্যে এক ছাত্রী এখনো মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছে। তার বুকে গুলি লেগেছে। বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল। ঘটনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, বন্দুক রাখার বিষয়ে কড়া আইনের কথা ভাবছে তার সরকার। ক্ষমতায় আসার আগেই এ বিষয়ে সরব হয়েছিলেন বাইডেন।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)