অভিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ
৩০ মে ২০১২মঙ্গলবার রাতে থাইল্যান্ডে পৌঁছান মিয়ানমারে গণতন্ত্রের মানস কন্যা অং সান সুচি৷ ‘ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম অন ইস্ট এশিয়া' বৈঠকে যোগ দিতে সু চি'র এই থাইল্যান্ড সফর৷ বৃহস্পতি এবং শুক্রবার বসবে এই বৈঠক৷
বুধবার দিনটি সু চি ব্যয় করলেন স্বদেশিদের সঙ্গে দেখা করে৷ ব্যাংককের ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের প্রদেশ সামুট সাখাওন'এ প্রায় চার লাখ মিয়ানমারের অভিবাসীর বাস৷ থাইল্যান্ডের মাহিডল বিশ্ববিদ্যালয়ের মিয়ানমারের অভিবাসী বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এন্ডি হল এই প্রসঙ্গে বলেন, সু চি'র মূল সুপারিশ হচ্ছে অভিবাসীদের জন্য একটি উম্মুক্ত শিক্ষাকেন্দ্র নির্মাণে থাই সরকারের কাছ থেকে অনুমতি চাইতে হবে৷
এন্ডি বলেন, তিনি (সু চি) চাইছেন অভিবাসী কর্মীদেরকে তাদের অধিকার সম্পর্কে জানানো হোক, যাতে করে তারা নিজেদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হয়৷ কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তারা পড়তে বা লিখতে পারে না৷ সুতরাং শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷
আনুষ্ঠানিক হিসেবে দেখা যাচ্ছে, থাইল্যান্ডে অভিবাসী কর্মীর সংখ্যা বিশ লাখ৷ এরমধ্যে আশি শতাংশই মিয়ানমার থেকে আসা শ্রমিক৷ পর্যবেক্ষকরা ধারণা করছেন, থাইল্যান্ডে সম্ভবত দশ লাখের বেশি অনিবন্ধিত অভিবাসী কর্মী রয়েছে৷
সু চি সামুট সাখাওন'এর মাহাচাই চিংড়ি বাজারও পরিদর্শন করেন৷ মিয়ানমারের কয়েকশত অভিবাসী কাজ করে এই বাজারে৷ তারা সু চি'কে দেখামাত্রই ‘মাদার সু, লং লাইফ' বলে শ্লোগান দিতে থাকে এবং সু চি এবং তাঁর বাবার ছবি হাতে নিয়ে নাড়াতে থাকে৷ মিয়ানমারের স্বাধীনতার নায়ক হচ্ছেন অং সান৷
সু চি'কে একনজর দেখতে অনেক শ্রমিকই সকাল বেলা কাজ থেকে বিরতি নিয়েছে৷ এদেরই একজন গিয়া৷ দশবছর ধরে থাইল্যান্ডে বসবাস করছেন তিনি৷ গিয়া বলেন, ‘‘আমরা তাঁকে দেখার জন্য সকালে কাজ থেকে বিরতি নিয়েছি, যদিও আমাদের মালিকার সেটি অনুমোদন করেনি৷ আমি এর আগে কখনো সু চি'কে সরাসরি দেখিনি৷ শুধুমাত্র টিভিতে দেখেছিলাম''৷
উল্লেখ্য, আগামী ১৪ জুন সুইজারল্যান্ডেরে জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার বার্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন সু চি৷ থাইল্যান্ডের বৈঠকেও অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন তিনি৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম (ডিপিএ)
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ