লঞ্চডুবির পর
১৫ মার্চ ২০১২আমাদের ওয়েব পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর জানাচ্ছে, লঞ্চটির অনেক নিখোঁজ যাত্রীর স্বজন দুর্ঘটনার দুই দিন পরেও মেঘনার তীরে এবং ট্রলার নিয়ে নদীতে খুঁজে ফিরছেন লাশ৷ এর আগে সকালে জেলা প্রশাসক মো. আজিজুল জানিয়েছিলেন, স্বজনদের দেওয়া তালিকানুযায়ী এখনও ১৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
শরীয়তপুরের নড়িয়া থেকে আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা যাওয়ার পথে সোমবার রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার কাছে দুর্ঘটনায় পড়ে এমভি শরিয়তপুর-১ নামের দ্বিতল লঞ্চটি৷ রাতেই আরেকটি লঞ্চের সহায়তায় ২৫-৩০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়৷
উদ্ধার পাওয়া যাত্রীরা বলেছেন, একটি কার্গো জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে তাৎক্ষণিকভাবে লঞ্চটি ডুবে যায়৷ নৌ-বাহিনী, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মীরা মঙ্গলবার সারাদিন অভিযান চালিয়ে মোট ৩৬টি লাশ উদ্ধার করেন৷
উদ্ধারকারী জাহাজ ও হামজা ও রুস্তম ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর মেঘনার মূল চ্যানেলের চরকিশোরী এলাকায় প্রায় ৭০ ফুট পানির নীচ থেকে লঞ্চটি টেনে তোলার কাজ শুরু হয় বুধবার ভোররাতে৷ সারাদিন চেষ্টার পর দুপুরের দিকে লঞ্চটি টেনে তীরের কাছে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ