মুসলমানদের ধর্মান্তরের চেষ্টা করতে নিষেধ করলেন পোপ
১ এপ্রিল ২০১৯রবিবার এক যৌথ ঘোষণায় পোপ ফ্রান্সিস এবং মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মেদ জেরুসালমকে খ্রিষ্টান, ইহুদি এবং মুসলমানদের ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের' প্রতীক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন৷
‘‘জেরুসালেমের প্রতি সবার উত্তরাধিকার রয়েছে, বিশেষ করে একেশ্বরবাদী তিন ধর্মের অনুসারীদের,'' বলে বিবৃতিতে লেখা হয়েছে৷
‘‘জেরুসালেমের সুনির্দিষ্ট বহুধর্মীয় চরিত্র, আধ্যাত্মিক মাত্রা এবং বিশেষ সাংস্কৃতিক পরিচয়... অবশ্যই রক্ষা এবং উৎসাহিত করতে হবে,'' বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে৷
আন্তধর্মীয় সংলাপকে উৎসাহ দিতে মরক্কো সফর করেন বিশ্বের এক দশমিক তিন বিলিয়ন ক্যাথলিক খ্রিষ্টানের এই আধ্যাত্মিক নেতা৷ গত ৩৪ বছরে এটি ছিল একজন পোপের প্রথম মরক্কো সফর৷
রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মেদ হচ্ছেন ‘অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের' তৈরি একটি কমিটির প্রধান, যেটি জেরুসালেমের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং স্থাপত্যগত ঐতিহ্য রক্ষা এবং উৎসাহিত করার লক্ষ্যে গঠন করা হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, গতবছর জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যা মুসলিম বিশ্বে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে ফিলিস্তিনিরা এতে ক্ষিপ্ত হয়েছেন, কেননা তারা এটিকে তাদের ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করে৷
মরক্কো সফরের দ্বিতীয় দিনে পোপ সেদেশের ছোট্ট ক্যাথলিক কমিউনিটির প্রতি উগ্রবাদ দমনে মুসলমানদের সঙ্গে সংলাপে বসার আহ্বান জানান৷ তিনি বলেন, ‘‘এভাবে আপনারা ভেদাভেদ এবং অজ্ঞতাকে পুঁজি করে ভয়, ঘৃণা এবং সংঘাত সৃষ্টির সব চেষ্টার মুখোশ খুলে দিতে এবং সেগুলো বানচালে সক্ষম হবেন৷''
এর আগে শনিবার পোপ ফ্রান্সিস উগ্রবাদকে অস্বীকার করা ইসলামের একটি সংস্করণকে উৎসাহিত করতে মরক্কো যে উদ্যোগ নিয়েছে, সেটির প্রতি সমর্থন জানান৷ ৩৬ মিলিয়ন বাসিন্দার সুন্নি-মুসলিম কিংডম মরক্কো ২০০৩ সালে কাসাব্লাংকায় সন্ত্রাসী বোমা হামলার পর ধর্মীয় বিভিন্ন নীতিতে পরিবর্তন আনে৷ সেই হামলায় ৪৩ ব্যক্তি নিহত হয়েছিল৷
এআই/জেডএইচ (এপি, রয়টার্স, এএফপি)