মুসলিম ভোটারদের জন্য জরিপ
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭জার্মানির সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ মুসলিমস, জার্মান মুসলিম লিগ এবং ইসলামিশে সাইটুং পত্রিকাটি সোমবার তাদের জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেছে৷ আসন্ন জার্মান নির্বাচনে এ সব দল অংশ নিচ্ছে৷
গোটা জার্মানির ৬১ দশমিক পাঁচ মিলিয়ন ভোটারের মধ্যে মুসলমান ভোটারের সংখ্যা ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন৷ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে তাঁদের সবার ভোট দেয়ার সুযোগ রয়েছে৷ জরিপের প্রকাশক আইমান মাজেক, বেলাল এল-মোগাদ্দেদী এবং সুলাইমান উইল্মস জানান যে, অন্যান্য সব ভোটারদের মতোই মুসলিম ভোটাররাও অবসর, জলবায়ু সুরক্ষা এবং শিক্ষা বিষয়ে দলগুলোর অবস্থান জানতে চান৷ জরিপে সেসব বিষয় ভালোভাবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে বলে জানান তাঁরা৷
তাঁরা লিখেছেন, ‘‘ইসলামের প্রতি যখন প্রতিকূল আচরণ ক্রমশ বাড়ছে, তখন জার্মানির মুসলমানরাইসলাম ও মুসলমান নাগরিকদের নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো কী ভাবছে তাও ভোট দেয়ার আগে বিবেচনায় আনছেন৷''
গবেষকরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে ৩০টি প্রশ্ন পাঠিয়েছিলেন৷ এ সব প্রশ্নের মধ্যে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ইস্যু অন্তর্ভূক্ত করা হয়৷ বামদল, সবুজ দল, মক্তু গণতন্ত্রী, সামাজিক গণতন্ত্রী (এবং দলটির বাভেরিয়ার অংশ) এবং সামাজিক গণতন্ত্রীরা সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে৷
‘‘একমাত্র দল, যে টেলিফোন এবং ই-মেলে বারংবার চেষ্টা সত্ত্বেও জরিপে অংশ নেয়নি, সেটা হচ্ছে এএফডি'', লিখেছেন জরিপের প্রকাশকরা৷ বলা বাহুল্য, এএফডি নামের রাজনৈতিক দলটি ইসলামবিরোধী এবং অভিবাসনবিরোধী দল হিসেবে পরিচিত৷
মুসলিম সংগঠনগুলোর জোটের জরিপে বিতর্কিত বিষয়ও গুরুত্ব পায়৷ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে মুসলমানদের খৎনা এবং কোরবানির সময় পশু জবাই দেয়ার মতো বিতর্কিত বিষয়ে তাদের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়৷ পাশাপাশি, সমাজের, অর্থনীতির, রাজনীতির, গণমাধ্যমের এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের কিছু অংশ মুসলমানদের প্রতি বৈষম্য নিরসনে দলগুলো কী ভূমিকা রাখতে পারে, তাও জানতে চাওয়া হয়৷ জরিপের উত্তর দেয়া সবাই বৈষম্যের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়েছে৷
এছাড়া অস্ত্র রপ্তানি এবং দ্বৈত নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে দলগুলোর অবস্থানও জানতে চাওয়া হয়৷ পুরো জরিপটি পাওয়া যাবে এই লিংকে (জার্মান ভাষা)৷
এআই/ডিজি (ডিপিএ, কেএনএ, ইপিডি)
জার্মান নির্বাচন নিয়ে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷