‘মেরে সন্ত্রাসী তৈরি করা যায়, শিক্ষার্থী না'
২২ জানুয়ারি ২০১৬ডয়চে ভেলের পাঠক মামুন চান না যে, শিশুদের শারীরিক নির্যাতন করা হোক৷ তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘‘শিশু নির্যাতন বন্ধ হোক৷''
তবে অনাথ বন্ধু দেবনাথের কিন্তু ভিন্ন মত৷ তিনি বলছেন, ‘‘একটু না মারলে সন্তান অমানুষও হতে পারে৷'' নীল কাব্যও অনেকটা তাই মনে করেন৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘না মারলে তো বেয়ারা হয়ে যাবে৷''
আসলে আগের দিনে ছেলে-মেয়েদের অনেক মা-বাবাই শাসন করতে গিয়ে কিছুটা মারধর করতেন৷ তবে আজকের যুগে এটা অনেকটাই কমে গেছে৷ পশ্চিমা বিশ্বে সন্তানকে শারীরিক নির্যাতন করার খবর প্রকাশ হলে তো বাড়িতে পুলিশ পর্যন্ত এসে হাজির হয়৷
ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু উৎপল কুমার আজকের যুগের সচেতন মা-বাবার মতোই বলছেন যে, ‘‘শিশুকে ভালোবাসা দিয়ে পড়াতে হবে৷'' মানিক রাইতার এবং রেজা তামিমও ঠিক এমনটাই মনে করেন৷
তবে বাংলাদেশের শিশু অধিকার ফোরাম-এর পরিচালক আব্দুস শহিদ মাহমুদ এবং ব্লাস্ট-এর উপ-পরিচালক মাহবুবা আক্তার দু'জনই মনে করেন, শিশুদের শারীরিক শাস্তি বন্ধ করতে পুরনো আইন বাতিলের পাশাপাশি নতুন আইন প্রণয়ন প্রয়োজন, প্রয়োজন ব্যাপক গণসচেতনতা এবং প্রচারণা৷
শিশু শাস্তির ব্যাপারে বাংলাদেশের সরকারি আইন-কানুনে আমাদের পাঠক মামুন খান তেমন বিশ্বাস করতে পারছেন না৷ ‘‘....অনেক শুনেছি কামরুলের ফাসিঁ হচ্ছে, কিন্তু কোথায়? মনে হয় টাকার বিনিময়ে সব রফাদফা হয়ে গেছে''৷
‘‘মেরে সন্ত্রাসী তৈরি করা যায়, শিক্ষাথী না৷'' এই মন্তব্য ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু আকরাম হোসেনের৷
মাকে আবার কোন শিশু জ্বালায় না? শিশুরা তো দুষ্টুমি করবেই৷ মাঝে মাঝে অনেক শিশু হয়ত বা একটু বেশিই করে৷ আর সে কথাটাই মনে হয় বোন নাজনীন আক্তার বলতে চেয়েছেন৷ তিনি একটু রসিকতা করেই ডয়চে ভেলের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন, ‘‘আপনাদের তথ্যগুলোর সাথে যদি এটাও বলতেন যে, মেজাজ কন্ট্রোল করবো কীভাবে, তাহলে উপকার হতো অনেক৷''
পাঠক অর্জুন বৈদ্যর কাছে ডয়চে ভেলে থেকে প্রকাশিত শিশু নির্যাতন বিষয়ক রিপোর্টগুলো ভালো লেগেছে৷ সেই সাথে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘এখন অনেককিছুই বদলে গেছে৷ আমি এমন এক পরিবারের বড় হয়েছি, যেখানে মেয়েরা অনেক বেশি এগিয়ে ছিল এবং তাঁরা আজকে সফল৷ আমার পরিবারকে নিয়ে সেজন্য আমি গর্বিত৷''
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ