1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মেসি ম্যাজিক, অব্যবস্থা আর ভারতীয় ফুটবল

৩ সেপ্টেম্বর ২০১১

লিওনেল মেসি৷ গোটা দুনিয়া যাঁকে ফুটবলের রাজপুত্র বলে জানে৷ সেই মেসি খেললেন কলকাতায়৷ তা নিয়ে ধুন্ধুমার কান্ড৷ মেসি নিজেই ভয় পেয়ে গেলেন পুলিশের তারকা প্রেম দেখে৷ গোল কিন্তু এলনা তাঁর পা থেকে৷

https://p.dw.com/p/12SXY
লিওনেল মেসিছবি: AP

মেসি আর কলকাতার ফুটবল

কলকাতার যুবভারতী স্টেডিয়ামে লক্ষাধিক দর্শকের সামনে আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসির খেলা নিয়ে ক'দিন ধরেই তোলপাড় চলছিল সর্বত্র৷ খেলাটি ছিল ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে৷ আন্তর্জাতিক ম্যাচ৷ ফিফার আয়োজনে৷ খেলার ফলাফল ১-০৷ গোল এসেছে মেসির কর্ণার কিক থেকে৷ যাতে মাথা ছুঁইয়ে ম্যাচের একমাত্র গোলটি দিয়ে গেছেন নিকোলাস ওটামেন্ডি৷ নিজে গোল না করতে পারলেও পুরো খেলাটায় মাঠে ছিলেন মেসি৷ এমনকি যুবভারতী স্টেডিয়ামের নকল ঘাসে কষ্টকর খেলা হলেও৷ তার ওপর কলকাতার ভয়াবহ গরম আর আর্দ্রতা৷ সবকিছু মিলিয়ে অসুবিধা স্বত্ত্বেও দর্শকদের আগ্রহ দেখে তিনি মাঠ ছাড়েন নি খেলার মাঝপথে৷ কিন্তু মেসির পা থেকে গোল না আসায় হতাশ দর্শকরা৷ আসলে মানুষ বোধহয় ভুলে যায়, ফুটবল খেলাটাও একটা খেলাই৷ যাতে সবসময়ে নিজের পছন্দের ঘটনা নাও ঘটতে পারে!

কিন্তু খেলার পরে হাজার সমস্যা

সেটাই লজ্জার বিষয়৷ কারণ, প্রথমত বেশ কিছু বিশৃঙ্খলার উদাহরণ দেখা গেছে খেলার আগে এবং পরে৷ মেসিকে নিয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের হ্যাংলামো দেখে তারকা নিজেই ঘাবড়ে গেছেন৷ বলেও ফেলেছেন সেকথা৷ নিরাপত্তারক্ষীরা মেসিকে নিরাপত্তা দেবার চাইতে তাঁর ছবি তুলতেই সারাক্ষণ ব্যস্ত ছিল৷ তাঁর ছবি যে যার মোবাইলে পুলিশরা তুলেই চলেছে, এমনকি মেসিকে ধাক্বধাক্বি করতেও তাদের বাধেনি৷ মেসির হাতে একজায়গায় ছড়েও যায় জনৈক পুলিশকর্মীর টানাহেঁচড়াতে৷ সেটা সঙ্গে থাকা বাঙালি দোভাষীকে দেখিয়ে মেসি নিজেই বলতে বাধ্য হন, আমাকে বাঁচাও এদের হাত থেকে৷

সাংবাদিক সম্মেলনেও আসেন নি মেসি

আসেন নি৷ কারণ তিনি বেশ ঘাবড়ে যান পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণহীনতা দেখে৷ উন্মাদনার বহর দেখে৷ বিশ্বের যেখানেই তিনি যান, তাঁকে ঘিরে মানুষ উন্মাদনা দেখায়, সেটা নতুন কিছু নয়৷ কিন্তু যারা তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে, তাদের কাছ থেকে এমন অদ্ভুত আচরণ কোথাও দেখেন নি মেসি৷ এরপরে আরও সমস্যা হয় লোডশেডিং হয়ে যাওয়ায়৷ বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অন্ধকার হয়ে পড়ে স্টেডিয়াম এবং সাজঘর৷ এমন পরিস্থিতি তো ফুটবলের রাজপুত্রের কল্পনারও বাইরে৷

ফুটবলের উন্নতি হবে হয়তো এর ফলে

১০০ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার দেশ ভারত৷ বিশ্ব ফুটবলের আসরে তার এখনও কোন গর্ব করার মত জায়গা নেই৷ অথচ ভেনেজুয়েলার মত ছোট দেশ, যারা বারো বছর আগেও ফিফা ব়্যাংকিং - এ ভারতের নীচে ছিল, তারা কিন্তু যথেষ্ট সমীহ আদায় করে নিয়েছে৷ শুক্রবারের খেলায় আর্জেন্টিনার মত ফুটবল দলকে তারা বেশ সমস্যায় ফেলেছিল৷ কোপা আমেরিকায় তারা এই তো কদিন আগে ব্রাজিলকে হারিয়েছিল৷ সেই অনুপাতে ভারতীয় ফুটবল যে বহুদূর পিছিয়ে এখনও! যদিও বিশেষজ্ঞদের দাবি, মেসির মত বড়মাপের ফুটবলার কোলকাতা বা ভারতে খেলার ফলে ফুটবলের দিকে আবারও উৎসাহ ফিরবে৷ হয়তো বা আসবে সুদিন৷ সেই আগামীর দিকে তাকানোর জন্যই এ ধরণের আসরের প্রয়োজন রয়েছে৷ যদিও পরবর্তীতে মনে রাখতে হবে আয়োজনে যেন এমন ত্রুটি আর না থাকে, যাতে অপদস্থ না হতে হয় আন্তর্জাতিক দুনিয়ার সামনে৷ ফুটবলের মানচিত্রে ভারতকে তুলে আনতে হলে তার জন্য এখনও অনেক পথ চলা বাকি৷

প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা:    জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান