‘সমালোচকরা যা-ই বলুক তুমিই শ্রেষ্ঠ'
২৪ এপ্রিল ২০১৭রোববার রাতে রোমাঞ্চকর এল ক্লাসিকো ৩-২ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা৷ লা লিগা'র শেষ দিকে এসে দুই দলের পয়েন্টই এখন ৭৫৷ তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে শীর্ষে উঠলো এক ম্যাচ বেশি খেলা কাতালান ক্লাবটি৷ ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত খেলেছেন মেসি৷ বর্ষসেরা ফুটবলারের লড়াইয়ে প্রায় এক দশক ধরে মেসির প্রতিদ্বন্দ্বী রোনালদো ছিলেন নিষ্প্রভ৷ এরই সঙ্গে লা লিগায় হওয়া ক্লাসিকোতে সর্বোচ্চ ১৫টি গোল করে রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তি আলফ্রেদো দি স্তেফানোকে ছাড়িয়ে রেকর্ডটা একার করে নিয়েছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক৷
এবারের লা লিগায় মেসির ৩১তম গোলটি বার্সেলোনার জার্সিতে সব মিলিয়ে ৫০০তম৷ অবিস্মরণীয় এই গোলের পর গর্বের জার্সি খুলে রেফারির হলুদ কার্ডে ভ্রুক্ষেপ না দেখিয়ে স্তব্ধ গ্যালারির দিকে তুলে ধরেন পাঁচ বারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার৷ ম্যাচের শেষ মুহূর্তের গোলের ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে৷
আহমেদ শিপন লিখেছেন, ‘‘বার্সেলোনার বর্তমান অফ ফর্ম, নেইমারবিহীন বার্সা অনেকটাই দুর্বল, আবার খেলাটাও রিয়ালের ঘরের মাঠ বার্নাব্যুতে৷ সবকিছু মিলিয়ে বার্সেলোনা সাপোর্টারেরা একটি অন্ধকার ঘরে ঘুরপাক খাচ্ছিল৷ যেন তারা ঘর থেকে বের হওয়ার দরজাটা খুঁজে পাচ্ছিল না৷ তবুও তারা সেই অন্ধকার ঘরে বসেই আশার প্রদীপ জ্বালিয়েছিল৷ সেই আশার প্রদীপটাই শেষ পর্যন্ত পুরো ঘরকে আলোকিত করে দিল৷ মেসির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা হলো তিনি যুদ্ধে নামলেন, শত্রুদের পরাজিত করে মুকুটখানা তার মাথায় তুলে নিলেন৷''
আনোয়ার পাঠান লিখেছেন, ‘‘বার্সার হয়ে ৫০০ তম গোলটি করেই ফেললেন লিওনেল মেসি! তাও আবার তার প্রিয় প্রতিপক্ষ রিয়ালের জালে বল ঢুকিয়ে এবং তাদের হোমগ্রাউন্ডেই৷''
রাকেশ বড়ুয়া লিখেছেন, ‘‘হাজার রাত জাগতে পারি তোমার খেলা দেখার জন্য৷ গুরুদেব তোমায় হৃদ মাঝারে রাখবো ছেড়ে দেব না৷''
জয় প্যাটেল লিখেছেন, যখন আপনি ভাবছেন ম্যাচ শেষ হয়ে গেছে, ঠিক সেই সময় ঈশ্বর এসে যেন আপনাকে উদ্ধার করল৷''
ফেসবুকেও মেসি ভক্তরা ভিডিও ও ছবি শেয়ার করেছেন প্রিয় ফুটবলারের৷ সজল ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘মেসি, এত বাধা পেড়িয়ে তুমিই পারো একমাত্র দলকে জেতাতে৷ এক মিনিট নীরবতা তাদের জন্য যারা বলেছিল, বার্সা আজ চারটা খাবে৷ বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় যখন গোল করে তখন অন্য ম্যাচের সুপারস্টাররা শুধু দেখে যায়৷ মেসি তুমি সর্বকালের সেরাদের সেরা৷''
মোহাম্মদ নাজিম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘মেসি দ্য বস! হিংস্র বাঘকে যখন আক্রমণ করা হয় তখন তার শক্তি ও জেদ কয়েকগুণ বেড়ে যায়, হয়ে ওঠে অপ্রতিরোধ্য৷ মেসিকে আহত করে নিজেদের লক্ষ্যে উপনীত হওয়ার জন্য ইচ্ছা করেই মেসিকে মার্সেলোর কনুই দিয়ে খুব জোরে আঘাত করে মুখ রক্তাক্ত করার পরও মেসি মাঠ ছাড়েননি৷ মুখে ব্যান্ডেজ পরেই খেলা চালিয়ে যান৷ ''
দেবজিত সিনহা টুইটারে লিখেছেন, ‘‘আমার ঠাকুরদা পেলে'র কথা শুনিয়েছিলেন আমাকে, বাবা বলতেন ম্যারাডোনার কথা আর আমি আমার ছেলেকে শোনাবো মেসি'র কথা৷''
আশিকুর রহমান রিয়াদ লিখেছেন, ‘‘সমালোচকরা যা-ই বলুক, তুমিই সময়ের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়৷ হ্যাঁ, তুমিই লিওনেল মেসি৷''
শিকদার সায়মন লিখেছেন, ‘‘মেসি ফুটবল না খেললে ফুটবল খেলাটাই অপূর্ণ থেকে যেত৷ ‘লিওনেল মেসি' তুমি অসাধারণ৷ সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন৷''
মোহাম্মদ সাঈফ লিখেছেন, ‘‘এল ক্লাসিকো ম্যাচে মেসি আলো ছড়ালেও এদিন নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো৷ মেসির জাদুকরী খেলার কাছে অনেকটা অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে রোনালদোর চেহারায়৷''
অসভালদো কাসানোভা টুইটারে লিখেছেন, ‘সে মরে আবার বেঁচে ওঠে, বরাবরের মতোই..'
রফিকউল্লাহ রোমেল ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘মাঝে মাঝে প্ল্যাটফর্ম আর ব্যাকগ্রাউন্ড অপ্রয়োজনীয় হয়ে যায়৷ ম্যাজিক, প্রফেসি, লিডারশিপ, ফাইটিং স্পিরিট আর সবার উপরে নেভার সে ডাই এটিটিউড-সবই ......ছিলো মেসি'র মধ্যে৷ নাই বা জিতুক আর্জেন্টিনা কোনোদিন বিশ্বকাপ, ব্যালন ডি অর এ ক্রিশ্চিয়ানো যতই এগিয়ে থাক৷ আমরা বলতে পারবো, এই মেসির যুগে আমরা ফুটবল খেলা দেখতাম৷ ''
সংকলন: অমৃতা পারভেজ
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী