থ্রিজি প্রযুক্তি
৩১ মার্চ ২০১২বাংলাদেশে চালু থাকা মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর জন্য যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনার কাজ করছে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ‘হুয়াই'৷ কুমিল্লা অঞ্চলে ‘হুয়াই' এর এসব সেবা কার্যক্রমের দায়িত্বে রয়েছেন যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ আজিজুল আলম৷
ডয়চে ভেলের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন বাংলাদেশে মোবাইল যোগাযোগ প্রযুক্তির নানা দিক৷ তাঁর কাছে প্রথমেই জানতে চেয়েছিলাম হুয়াই কোম্পানি বাংলাদেশে মোবাইল ফোন সেবার জগতে কী ধরণের কাজ করছে? এ ব্যাপারে আজিজুল আলম বলেন, ‘‘বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে হুয়াই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে৷ বাংলাদেশের সামনের সারির চারটি মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ফোন, বাংলালিংক, এয়ারটেল ও সিটিসেল'এর জন্য যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করি আমরা৷ এছাড়া বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটক তাদের সাথেও কিছু কাজ করছে হুয়াই৷''
বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের যাত্রা এবং সম্প্রসারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘প্রায় পনেরো বছর আগে প্রথম বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের পদযাত্রা শুরু৷ এখন দেখা যাচ্ছে যে, প্রতিনিয়তই মোবাইল ফোনের সম্প্রসারণ ঘটছে৷ পৌঁছে যাচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত৷ বর্তমানে এমন কোন এলাকা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর যেখানে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক নেই৷ এছাড়া মোবাইল ফোন প্রযুক্তিটাও প্রতিনিয়ত উন্নত হচ্ছে৷ আগে এটি শুধু কথা বলার জন্য ব্যবহৃত হলেও এখন মোবাইল ফোন রেডিও শোনা, গান শোনা, ভিডিও দেখা থেকে শুরু করে ব্যাংকিং সেবার জন্যও ব্যবহৃত হচ্ছে৷ ফলে এটি এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷''
বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের সম্প্রসারণে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে কী ধরণের ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে - এমন প্রশ্নের উত্তরে আলম বলেন, ‘‘মোবাইল ফোনের সম্প্রসারণের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে৷ এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, শিক্ষা, ব্যাংকিংসহ প্রায় সব জায়গাতেই এর প্রভাব পড়ছে এবং জীবন যাত্রা হয়েছে সহজতর৷''
এছাড়া মোবাইল ফোনের সুফল আরো বাড়াতে শীঘ্রই এর সাথে থ্রিজি প্রযুক্তি চালুর প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আজিজুল আলম৷
সাক্ষাৎকার: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ