‘ম্যার্কেল যুগ' কি শেষ হতে চলেছে?
৪ নভেম্বর ২০১৫মঙ্গলবার বার্লিনে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীদের এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন৷ ১,২০০ বিশিষ্টজনের এ সমাবেশে ‘শরণার্থী সংকট' নিরসনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে যুক্তিসঙ্গত হারে উদ্বাস্তু বণ্টনের ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি৷ বলকান দেশগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে ম্যার্কেল বলেন, ‘‘এই ইস্যুতে আমাদের ছোট মন নিয়ে চিন্তা করা ঠিক হবে না৷ আমি নিশ্চিত যে এই সমস্যা শুধু জার্মান-অস্ট্রিয়া সীমানাতেই শেষ করে দেয়া যাবেনা৷ ইউরোপে আজ যারা ভাবছে এই সংকটের প্রভাব তাদের ওপর পড়েনি, আজ হোক কাল হোক তাদের ওপরও একদিন প্রভাবটা ঠিকই পড়বে৷''
জার্মানিতে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান আবার সুদৃঢ় করার উপায়ও খুঁজছেন ম্যার্কেল৷ তবে জোটের বাইরের বিরোধিতার তীব্রতা বাড়ছে এবং তার আঁচ তাঁর সরকারও পাচ্ছে৷ ড্রেসডেনে আবার অভিবাসীবিরোধী সমাবেশ করেছে পেগিডা৷ পেগিডা মনে করে, ম্যার্কেলের উদার অভিবাসন নীতি জার্মানির জন্য সর্বনাশ ডেকে আনছে৷ পেগিডা সমর্থকদের বাইরেও অবশ্য জার্মানদের একটা অংশ ব্যাপক হারে অভিবাসনপ্রত্যাশীর আগমনে শঙ্কিত৷
সব মিলিয়ে ম্যার্কেলের জন্য সময়টা সত্যিই খারাপ৷ এতটাই খারাপ যে ‘ডেয়ার স্পিগেল' প্রশ্ন রেখেছে, ‘আমরা কি ম্যার্কেল যুগের অবসান দেখতে চলেছি?' নিজের দল এবং জোট হয়তো সামলে নেবেন৷
কিন্তু এখনো তো প্রতিদিন হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী আসছে৷ ‘শরণার্থী সংকটকে' বাগে আনতে না পারলে ম্যার্কেলের গদিটা কি থাকবে?
সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন
প্রিয় পাঠক, ম্যার্কেল কি তাঁর জনপ্রিয়তা ফিরে পাবেন? নীচে আপনার মতামত লিখে জানান৷