শরণার্থীদের বাড়িতে আশ্রয় দিলেন জার্মান সাংসদ
৫ আগস্ট ২০১৫ইংরাজি ভাষায় বলে ‘চ্যারিটি বিগিন্স অ্যাট হোম' – অর্থাৎ অন্যদের উপদেশ দেওয়ার আগে নিজের উচিত সক্রিয় হয়ে উঠে সাহায্য করা৷ সরকার ও প্রশাসন যখন শরণার্থী সংকট নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে, তখন ইউরোপে অনেক মানুষ নিজস্ব উদ্যোগেই বহিরাগতদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসছেন৷ জার্মানিতে অনেক স্বেচ্ছাসেবী প্রচারের পরোয়া না করে নীরবে এই কাজ করে চলেছেন৷ জার্মানির এক বিখ্যাত অভিনেতা এমন উদ্যোগ দেখিয়ে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন৷ এ বিষয়ে লেখা প্রতিবেদন শেয়ার করছেন অনেকে৷
পিছিয়ে নেই রাজনীতিকরাও৷ জার্মানির এক সংসদ সদস্য নিজের বাড়িতে ইরিট্রিয়া থেকে আসা দুই শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে আলোড়ন তুলেছেন৷ অ্যান্ডি এলসেন মনে করেন, আরও মানুষ এভাবে এগিয়ে এলেই মঙ্গল৷
ফ্রান্স থেকে ব্রিটেনগামী শরণার্থীদের নিয়ে চ্যানেল টানেলে যে ‘নাটক' চলছে, তা নিয়ে পরিহাস করছেন অনেকে৷ জার্মানি ও সুইডেনের মতো দেশের পথে না গিয়ে শরণার্থীদের গ্রহণ করতে ব্রিটেনের সরকার যে অনীহা দেখাচ্ছে, তার প্রেক্ষাপটে ক্যামেরন সরকারের তীব্র সমালোচনা শোনা যাচ্ছে অনেক মহলে৷ জো গার্ডনার এই প্রসঙ্গে একটি ব্যঙ্গচিত্র শেয়ার করে মন্তব্য করেছেন, বিষয়টিকে আর ঠাট্টা-রসিকতা বলা যাচ্ছে না – এটাই বাস্তব৷
ওয়েন হাওয়ার্থ মনে করিয়ে দিয়েছেন, ব্রিটেন ইউরোপে আগত শরণার্থীদের মধ্যে মাত্র ০.২৫ শতাংশ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে৷
ইউরোপের অন্য অনেক দেশেও শরণার্থী সংকটের ভিন্ন মাত্রা দেখা যাচ্ছে৷ যেমন হাঙ্গেরির বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে এই সংকটের গুরুত্ব বর্ণনা করে লেখা একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন মেঘশ্যাম৷
অস্ট্রিয়ার সরকার ‘জায়গার অভাবে' শরণার্থীদের কারাগারে থাকার ব্যবস্থা করছে – এ বিষয়ে লেখা একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন মিশায়েলা ভ্রান৷
আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত দেশ গ্রিস কীভাবে শরণার্থীদের ঢল সামলাচ্ছে, সে বিষয়ে দু'টি প্রতিবেদন শেয়ার করছেন অনেকে৷
হ্যারি লেসলি স্মিথ মনে করেন, অস্ত্র নির্মাতাদের উপর ৫০ শতাংশ কর চাপিয়ে শরণার্থীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা উচিত৷
সংকলন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী