1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেলদের জনপ্রিয়তা কমছে

১২ অক্টোবর ২০১৮

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের জোট সরকারের জনপ্রিয়তা নেমে এসেছে ৪১ শতাংশে৷ তাঁর দল সিডিইউ ২৬ এবং সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের জনপ্রিয়তা ১৫ শতাংশ৷ দ্বিতীয় অবস্থানে আছে গ্রিন পার্টি৷

https://p.dw.com/p/36RvY
ছবি: picture-alliance/AP/M. Sohn

বাভারিয়া নির্বাচনের মাত্র তিন দিন আগে প্রকাশ হলো ডয়েচলান্ডট্রেন্ডের এই নিয়মিত জরিপের সবশেষ ফল৷

জোট সরকারের তিন দল, ম্যার্কেলের খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী দল সিডিইউ, বাভারিয়া রাজ্যের খ্রিস্টীয় সামাজিক ইউনিয়ন সিএসইউ এবং সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডি সেপ্টেম্বরের তুলনায় তিন শতাংশ করে সমর্থন হারিয়েছে৷

১৭ শতাংশ সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে পরিবেশবাদী দল গ্রিন পার্টি৷ এসপিডিকে ছাড়িয়ে বাভারিয়ার নির্বাচনেও এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় স্থান দখলের আভাস দিচ্ছে দলটি৷

বাডেন-ভ্যুর্টেমবার্গ এবং হেসে রাজ্যে এরই মধ্যে সরকারে আছে দলটি৷

এএফডির পেছনে এসপিডি

১০০৮ জন ভোটারের মতের ভিত্তিতে এ জরিপ প্রকাশ করেছে জার্মানির এআরডি টেলিভিশন৷ জরিপে দেখা যাচ্ছে, উগ্র ডানপন্থি দল অলটারনেটিভ ফর ডয়চলান্ড এএফডিকে সমর্থন করেন ১৬ শতাংশ মানুষ৷

তাঁদের চেয়ে পিছিয়ে ১৫ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছে এসপিডি৷

১০ শতাংশ করে সমর্থন পেয়েছে বামপন্থি লেফট পার্টি এবং ব্যবসাপন্থি ফ্রি ডেমোক্র্যাট পার্টি এফডিপি৷

জার্মান মন্ত্রিসভার গত ছয় মাসের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভোটাররা৷ জরিপে অংশ নেয়া ভোটারদের ৫৬ শতাংশ সরকারের এই অবস্থার জন্য দায়ী করেছেন ম্যার্কেলকেই, ৩১ শতাংশ দায়ী করেছেন সেহোফারকে৷

Infografik D-Trend Current government situation EN

নিরাপত্তা ইস্যুতে অর্ধেক ভোটারের সমর্থন পেয়েছে সরকার, অভিবাসন নীতিতে সমর্থন মিলেছে এক-তৃতীয়াংশের৷ তবে তিন চতুর্থাংশ ভোটার সার্বিকভাবে সরকারের কর্মকাণ্ডে বিরক্ত৷

বিশেষ কিছু ইস্যুতে সমর্থন কমেছে সবচেয়ে বেশি৷ ডিজেল কেলেঙ্কারিতে সরকারের ভূমিকা পছন্দ করেননি ৮২ শতাংশ ভোটার৷ ভাড়া ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির মধ্যে বাসস্থান নির্মাণের উদ্যোগকেও সমর্থন করেন না ৭৯ ভাগ ভোটার৷

Infografik D-Trend Satisfaction with government policy EN

সরকারের জলবায়ু পরিবর্তন নীতিকে অপর্যাপ্ত মনে করেন ৭৪ শতাংশ মানুষ৷ বিশেষ করে তীব্র প্রতিবাদ সত্ত্বেও হামবাখে বন কেটে উন্মুক্ত কয়লা খনি সম্প্রসারণের উদ্যোগকে ভালো দৃষ্টিতে দেখছেন না জার্মান ভোটাররা৷

এডিকে/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স, ইপিডি)