ম্যার্কেলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাই না: সেহোফার
২৮ জুন ২০১৮কিন্তু শরণার্থী ইস্যুতে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সাথে বনিবনা না হলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন৷
এসময় তিনি দাবি করেন, তাঁর দল সিএসইউ-এরও সরকারের সাথে সংসদীয় জোট ভাঙার কোনও পরিকল্পনা নেই৷
বুধবার বাভেরিয়ার রক্ষণশীল দল ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ)-এর নেতা সেহোফোর জার্মান টেলিভিশন এআরডিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আমি জানি না আমার দলের মধ্যে কে আছেন, যিনি বার্লিনের সরকারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটদের (সিডিইউ) সঙ্গে সংসদীয় জোট ভাঙার চেষ্টা করেছেন কিংবা ম্যার্কেলকে চ্যান্সেলর পদ থেকে নামানোর চেষ্টা করছেন৷''
তিনি বলেন, ‘‘অনেক মানুষই এটা বিশ্বাস করেন না৷''
সম্প্রতি সেহোফার অভিবাসন বিষয়ক একটি ‘মাস্টারপ্ল্যান' তৈরি করেছেন৷ কিন্তু ম্যার্কেলের সঙ্গে মতের মিল না হওয়ায় এখনও তা প্রকাশ করা হয়নি৷ জানা গেছে, যেসব শরণার্থী ইউরোপের অন্য দেশে নিবন্ধিত হয়েছেন, তাঁদেরকে জার্মান সীমান্ত থেকে ফিরিয়ে দিতে চান সেহোফার৷ তবে ম্যার্কেল এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ তিনি শরণার্থী সংকটের একটি ইউরোপীয় সমাধান চান৷
ম্যার্কেলের সঙ্গে সেহোফারের এই মতভিন্নতার কারণে জার্মানির জোট সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে সম্প্রতি টানাপড়েন শুরু হয়৷
সোহোফোর শরণার্থী সংকট নিয়ে নিজের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদের ক্ষমতা ব্যবহারের হুমকি দিলেও শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাওয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি দেশগুলোর সাথে শীর্ষ সম্মেলনে কী সমাধান হয়, সেটির জন্য অপেক্ষা করছেন৷
সোহোফোর বলেন, ম্যার্কেল ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সাথে বসার পর শরণার্থী নিয়ে সংকট সমাধানে ব্যর্থ হলে রোববার সিডিইউ এবং সিএসইউ বৈঠকে বসবে এবং সিদ্ধান্ত নেবে ‘কীভাবে সামনে এগোনো যায়'৷
তিনি আরও বলেন, ‘‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জার্মান নাগরিকদের কাছে সরকারকে এটা তুলে ধরতে হবে যে, শরণার্থী সংকট মোকাবেলায় সবকিছু নিয়ন্ত্রণেই আছে৷''
জার্মান অর্থমন্ত্রী ও সোশাল ডেমোক্র্যাট দলের সদস্য ওলাফ শলৎস এর আগে বলেছিলেন, দুটি রক্ষণশীল দলের নেতারা নিজেদের আন্তঃবিতর্কের মীমাংসা করে শেষ পর্যন্ত সমঝোতায় আসবেন বলে তিনি আশাবাদী৷
জার্মান টিভি জেডডিএফ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘দিন শেষে সবাই একসাথেই কাজ করতে পারবে৷''
এদিকে সিডিইউ ও সিএসইউ সংকট উৎরাতে পারবে বলে বিশ্বাস করলেও, যদি সেটি না পারে তাহলে সেহোফোর পদত্যাগ করতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন৷
তিনি বলেন, ‘‘রাজনীতিতে কিছু দৃঢ় অবস্থান থাকে৷ সেসব ক্ষেত্রে দাপ্তরিক কাজের চেয়ে বিশ্বাসটাকে প্রাধান্য দিতে হয়৷''
এইচআই/এসিবি