ভারত-জার্মান বন্ধন
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩দুই দেশের সম্পর্কের প্রেক্ষিতে জার্মানির সংসদ নির্বাচনের ফলাফলে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, ম্যার্কেলের ভারতনীতি শুধু যে অটুট থাকবে তা নয়, বরং আরো দৃঢ়মূল হবে৷ পররাষ্ট্রনীতিতে মৌলিক কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন জার্মান রাষ্ট্রদূত স্টাইনার৷ সিডিইউ এবং এসপিডি উভয়দলই চায় ভারত পরমাণু অস্ত্র প্রসার রোধসহ বিভিন্ন পরমাণু চুক্তিতে শামিল হোক৷ আঙ্গেলা ম্যার্কেলের খ্রিস্টিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নের বিপুল জয়ে সুসংহত হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলির ঐক্য৷
চ্যান্সেলার ম্যার্কেল চাইবেন ভারত-ইইউ মুক্তবাণিজ্য চুক্তি যত শীঘ্র সম্ভব সই হোক৷ সেই লক্ষ্যে তিনি জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের পক্ষপাতি৷ কারণ এক্ষেত্রে দুপক্ষের স্বার্থ অভিন্ন৷ ভারতকে যদি বার্ষিক ৮ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হয়, তাহলে চাই বিনিয়োগ৷ আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশ্বের সবথেকে বড় অর্থনৈতিক শক্তি, বৃহত্তম বাজার৷ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং নিজেও তা স্বীকার করেছেন৷ তবে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি ইস্যুতে ভারতের বক্তব্য অবশ্য বিবেচ্য৷
কাশ্মীরের শ্রীনগরে কিছুদিন আগে জার্মান কনসার্ট প্রসঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূত জানান, এই কনসার্টের পেছনে রাজনৈতিক কারণ খোঁজা ভুল হবে৷ এটা নিছক একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান৷ এই কনসার্টের জন্য দেয়া ভারত ও জার্মানির বিভিন্ন সংস্থাগুলির অর্থ সাহায্যে কাশ্মীরে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ করা হবে৷ যেমন, হাসপাতাল, বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ ইত্যাদি৷ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গিলানির সমালোচনার কোনো যুক্তি নেই৷ কনসার্টের পেছনে রাজনৈতিক গন্ধ খোঁজা অনুচিত৷ দেশবিদেশের অসংখ্য মানুষ এই কনসার্টের ভূয়সী প্রশংসা করেছে৷ শ্রীনগর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে শোপিয়ানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জনতার সংঘর্ষের সঙ্গে কনসার্টের কোনো যোগ নেই৷ কাশ্মীরের শিল্পী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ এর আনন্দ উপভোগ করেছেন৷ ভবিষ্যতে যদি সম্ভব হয়, তাহলে উভয় কাশ্মীরকে নিয়ে কনসার্টের কথা ভেবে দেখা যেতে পারে, বলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত স্টাইনার৷