যাদবপুরে র্যাগিং: আরো দুই ছাত্র গ্রেপ্তার
১৪ আগস্ট ২০২৩শুক্রবারই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও হস্টেলের আবাসিক সৌরভ চৌধুরীকে। রোরবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে দ্বিতীয় বর্ষের দুই ছাত্র মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্তকে।
তাদের আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারক তাদের ২২ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, তারা দ্রুত তদন্তের কাজ শেষ করতে চান। মৃত ছাত্রের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পুরোটা ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে।
পসকো আইনপ্রয়োগের দাবি
পশ্চিমবঙ্গের শিশু সুরক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী নদিয়ায় স্বপ্নদীপের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, ''স্বপ্নদীপের বয়স হয়েছিল ১৭ বছর নয় মাস নয় দিন। তাই এই মৃত্যুর ঘটনাকে পসকো আইনের আওতায় আনা উচিত।''
তিনি বলেন, ''স্বপ্নদীপকে উলঙ্গ করা হয়েছিল। তার শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা ছিল। সে তার ভাইকে ফোন করে বলেছিল, তাকে সমকামী বলা হচ্ছে। ফলে এটা যৌন নির্যাতনের পর্যায়ে পড়ে। সেজন্য আরো বেশি করে পসকো আইন প্রয়োগ করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে।''
তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ''কেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও হস্টেলে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো নেই। ভারতের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ক্যামেরা রয়েছে। যাদবপুর তো অন্য কোনো গ্রহের বিশ্ববিদ্যালয় নয়।''
চিঠি বিতর্ক
হস্টেলের যে ঘরে স্বপ্নদীপ ছিলেন, সেখানে একটি ডায়েরির মধ্যে একটা চিঠি পাওয়া গেছে। ওই চিঠি ডিনকে লেখা। কিন্তু সেই চিঠির হস্তাক্ষর ও সই তার ছেলের নয় বলে দাবি করেছেন স্বপ্নদীপের বাবা। এখন ওই চিঠি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।
রোববার আদালতে সরকারি আইনজীবী বলেছেন, ''এই চিঠি জোর করে লেখানো হয়েছিল। এই চিঠির পিছনে মনোতোষ ও দীপশেখরের হাত থাকতে পারে।''
এরপর দুই অভিযুক্তের আইনজীবীরা বলেছেন, ''এফআইআরে মনোতোষদের নাম নেই। তাদের বিরুদ্ধে খুব বেশি হলে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করা যেতে পারে, হত্যা মামলা নয়।''
সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, ''হস্টেলের রাঁধুনি ও এক ছাত্র জানিয়েছেন, যাদবপুরে র্যাগিং করা হয়। তদন্তে অনেকে জড়িত বলে জানা যাচ্ছে।''
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, আনন্দবাজার, টিভি৯)