ব্রিটেনের জন্য ইউরোপের দুয়ার খোলা: ম্যার্কেল
২১ মার্চ ২০১৯ব্রিটেনকে যাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে কোনো চুক্তি ছাড়া বেরিয়ে যেতে না হয়, সেজন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন জার্মান চ্যান্সেল আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ তিনি জার্মান আইন প্রণেতাদের উদ্দেশ্যে এক বক্তৃতায় এই কথা বলেন৷
সময়সীমা অনুযায়ী আগামী দশ দিনের মধ্যে ব্রিটেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে চুক্তি সহ বা চুক্তি ছাড়া বেরিয়ে যেতে হবে৷ তবে এই সময়সীমা মার্চের ২৯ তারিখের বদলে ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর আবেদন করতে পারেদেশটি৷ এরই মধ্যে সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে ইউরোপীয় কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ককে লিখেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরিসা মে৷ এ নিয়ে তাঁর ইউরোপীয় নেতাদের সাথে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে৷
ম্যার্কেল বলেন, আইরিশ ব্যাকস্টোপ পরিকল্পনা নিয়ে যেই অগ্রগতি হয়েছে ইইউর জন্য তা টেরেসা মেকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিতে যথেষ্ট৷ যুক্তরাজ্যে যদি ভোটে ইতিবাচক ফলাফল না আসে তাহলে আরেকটি ইইউ সম্মেলনের আয়োজন করা যেতে পারে বলেও মত দেন তিনি৷
ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাজ্য বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে না
জার্মান সংসদ বুন্ডেসটাগে মে এই ভাষণ দিলেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের বৈঠকের কিছুদিন আগে৷ যেখানে টেরিসা মে জুন পর্যন্ত ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়াতে ইইউ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাতে যাচ্ছেন৷ ম্যার্কেল বলেন, বিচ্ছেদের পরে ব্রিটেনের সাথে সম্পর্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকলে যতটা নিবিড় থাকত ততটা হয়ত আর থাকবে না৷ কিন্তু বন্ধুত্ব আর পারস্পরিক সুবিধার জন্য একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি৷ ‘‘ইইউ-তে থাকুক বা না থাকুক যুক্তরাজ্য সব সময়ই আমাদের চিন্তায় থাকবে৷ আন্তরিক সম্পর্কের দুয়ার বিস্তৃতভাবে খোলা থাকবে৷'' বলেন ম্যার্কেল৷
এর আগে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্কও সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়টিকে বিকল্প হিসেবে বিবেচনার কথা জানিয়েছেন৷ তবে এ জন্য ২৯ মার্চের আগেই যুক্তরাজ্যের সংসদে বিচ্ছেদ চুক্তি পাসের শর্ত দিয়ে রেখেছেন তিনি৷
ভবিষ্যৎ ইউরোপ
ইইউ সদস্যদের ইউরোপের ভবিষ্যতেরদিকে মনযোগ দেয়ার আহ্বানও জানান ম্যার্কেল৷ বলেন, জোটবদ্ধ যে নীতি ইউরোপ গ্রহণ করেছে সেটি শান্তি বয়ে এনেছে, কিন্তু তা ক্রমাগত বেড়ে চলা হুমকীর মধ্যেও আছে৷ তিনি বলেন ইইউকে সব সময় এই পরিস্থিতি প্রতিহত করে যেতে হবে৷ আইন প্রণেতাদের স্মরণ করিয়ে দেন যে, ‘‘ইউরোপের মানে হল কথা বলা ও লেখা এবং যা সঠিক মনে হয় তা বিশ্বাস করার স্বাধীনতা৷''
এফএস/ডিজি (এপি)