‘সৌদি আরবের আপত্তি নেই’
৩০ জানুয়ারি ২০১৩জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বিষয়টির উপর আলোকপাত করেছেন৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি জানালেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিকদের কারো কোনো মাথাব্যথা নেই৷ প্রথমত সবাই মনে করেন, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার হওয়া উচিত এবং তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়৷ তা না হলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়৷ দ্বিতীয়ত তাঁরা মনে করেন, এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং বাংলাদেশ স্বচ্ছভাবে বিচার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে৷
সৌদি আরবের মতো কিছু দেশ সম্পর্কে অভিযোগ এসেছে৷ ড. আব্দুল মোমেন জানালেন, জাতিসংঘে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত বার বার আশ্বাস দিয়েছেন যে, এই ব্যাপারে তাদের কোনো আপত্তি নেই৷ সে দেশের কোনো ব্যক্তি বা মহল এ বিষয়ে যাই মনে করুক না কেন, সৌদি সরকারের তার সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই৷ তুরস্কের একটি ইসলামি ভাবাপন্ন দল বাংলাদেশে গিয়েছিল বটে, কিন্তু তাদেরকে অনেকেই বুঝিয়েছিল যে যাদের বিচার হচ্ছে তারা অনেকেই বড় বড় ধর্মীয় পণ্ডিত৷ এ বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশকে যে চিঠি লিখেছেন, জাতিসংঘে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত সে বিষয়ে ব্যাখ্যা করে বলেছেন, এটা অনেকটা নিয়মরক্ষার তাগিদে করা হয়েছে৷ তাতে শুধু স্বচ্ছভাবে বিচারের আবেদন জানানো হয়েছে৷ অ্যামেরিকাও স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়ার ডাক দিয়েছে৷ ড. মোমেনের মতে, যে দেশে গুয়ান্তানামোর মতো অস্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়া চলেছে, সে দেশ স্বচ্ছ বিচার চাইলে তা বেশ ইতিবাচক বলে ধরে নেওয়া উচিত৷ তবে ওয়াশিংটন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়ার প্রশংসাও করেছে৷
প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বেশ ইতিবাচক সাড়ার কথা জানালেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি৷ বিশেষ করে নবীন প্রজন্মের মধ্যে উৎসাহের বিষয়টি তিনি লক্ষ্য করছেন৷ অনেকে আবার ধীর গতির কারণে অধৈর্য হয়ে পড়ছেন৷
সাক্ষাৎকার: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ