‘যেন জলের ওপর হাঁটছি’
২৬ আগস্ট ২০১৬মিলান শহরের উত্তরপূর্বে ইসিও লেকের উপর লোকে লোকারণ্য! ক্রিস্টোর ‘দ্য ফ্লোটিং পিয়ার্স' বা ভাসন্ত পাটাতন দেখতে প্রথম সপ্তাহান্তেই আসেন লক্ষাধিক দর্শক৷ তাঁরা সবাই অভিভূত৷ ‘‘দারুণ, বলে বোঝানো শক্ত৷ খুব ভালো লাগছে৷'' ‘‘যেন জলের ওপর দিয়ে হাঁটছি৷ দারুণ!'' ‘‘আমি খালি পায়ে যাব৷ দারুণ লাগবে...৷''
ক্রিস্টোর ক্যানভাস হল ইসিও হ্রদ৷ আঁকেন কমলা রংয়ের কাপড় দিয়ে৷ ছবিটি কিন্তু ১৬ দিন পরেই শেষ হয়ে যাবার কথা৷ আদতে বুলগেরিয়ার মানুষ ক্রিস্টো গত ৪০ বছর ধরে এই ভাসন্ত পাটাতন বানানোর স্বপ্ন দেখেছেন৷ শেষমেষ দু' লাখ বিশ হাজার ভাসন্ত কিউব দিয়ে পাটাতনটি তৈরি করা হয়৷
এক লাখ বর্গমিটার কাপড় দিয়ে তা ঢাকা হয়৷ কাপড়টি বিশেষ অর্ডার দিয়ে জার্মানিতে তৈরি করা হয়েছিল৷ কাপড়টি এমন যে, আবহাওয়া ও প্রহর অনুযায়ী তার রং বদলায়৷ ক্রিস্টো বলেন, ‘‘এটা খুবই শারীরিক, কেননা আপনি শুধু দেখছেন না, আপনি শিল্পকর্মটির উপর দাঁড়িয়ে আছেন৷ সব কিছু দেখার জন্য আপনাকে হেঁটে যেতে হচ্ছে৷ আপনি সবসময় চলেছেন৷ আপানার পাশে জলও বয়ে চলেছে৷''
শনিবার সকালে ভোর আটটা কুড়ি থেকে দর্শকরা ছোট্ট শহর সুলজানো থেকে ভাসন্ত পাটাতনে ওঠার সুযোগ পেয়েছিলেন৷ ক্রিস্টো চেয়েছিলেন যে, কোনোরকম উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছাড়াই দর্শকরা ‘দ্য ফ্লোটিং পিয়ার্স'-এ উঠতে পারবেন৷ ক্রিস্টো ও তাঁর দলবল আসবেন অন্যদিক থেকে ও স্বল্পসময়ের মধ্যেই জনতা ও মিডিয়ার কাছ থেকে বিদায় নেবেন৷
১৬ মিটার প্রস্থের ও সব মিলিয়ে তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ভাসন্ত পাটাতনগুলি হ্রদের তীর থেকে মন্টে ইসোলা দ্বীপ, ও সেখান থেকে ছোট্ট সান পাওলো দ্বীপ অবধি চলে গেছিল৷ দ্বীপের দেড় কিলোমিটার তীরভূমিও কমলা রঙের কাপড়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল৷ মন্টে ইসোলা দ্বীপে যেন মেলা বসেছিল৷
দেখতে যাবেন নাকি এই ‘ভাসন্ত পাটাতন’? লিখুন নীচের ঘরে৷