নতুন ট্রাইবুনাল
২৪ মার্চ ২০১২আইনমন্ত্রী বলেন, চিফ প্রসিকিউটর চাইলে এক ট্রাইবুনাল থেকে মামলা আরেক ট্রাইবুনালে স্থানান্তর করতে পারবেন, এমন বিধান রেখে আইনের সংশোধন হচ্ছে৷
নতুন যুদ্ধাপরাধ ট্রাবুনালের প্রধান হলেন বিচারপতি এবিএম ফজলে কবির৷ আর অপর দু'জন সদস্য হলেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং শাহীনুল ইসলাম৷ আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ জানিয়েছেন, রবিবার থেকে এই ট্রাইবুনাল কাজ শুরু করবে৷ এজন্য পুরো প্রস্তুতি রয়েছে৷ তিনি বলেন নতুন যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হবে তাদের বিচার এই ট্রাইবুনালে হবে৷ এছাড়া যাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তাদের বিচারও এখানে করা যাবে৷ আইনমন্ত্রী জানান, চিফ প্রসিকিউটর যাতে এক ট্রাইবুনালের বিচার আরেক ট্রাইবুনালে স্থানানন্তর করতে পারেন সেজন্য আইনেরও সংশোধন করা হচ্ছে৷
আইনমন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যেই আরো ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে৷ তদন্ত টিমের সূত্র অনুযায়ী তারা হলেন: মাওলানা একেএম ইউসুফ, মীর কাশেম আলি, মাওলানা আব্দুস সোবহান, মাওলানা এটিএম আজহারুল ইসলাম, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, খালেক মজুমদার, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আশরাফুল ইসলাম এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী চৌধুরী মইনুদ্দিন৷ ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ জানান, যারা দেশের বাইরে আছেন নিয়ম অনুযায়ী তাদের নোটিশ পাঠান হবে৷ হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার হবে৷
আইনমন্ত্রী জানান, নতুন ট্রাইবুনালের কারণে যুদ্ধাপরাধের মামলার বিচারে গতি আসবে৷ গতি আসবে তদন্তে৷ কারণ আরো নতুন প্রসিকিউর নিয়োগ দেয়া হবে৷ যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল গঠন করার পর এপর্যন্ত আট জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়েছে৷ তাদের মধ্যে জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদির বিরুদ্ধে স্বাক্ষ্য গ্রহণ চলছে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: জাহিদুল হক