1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাখাইনে সেনা অভিযান বন্ধ

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান শেষ হয়েছে বলে দাবি করেছে সে দেশের সরকার৷ চার মাস ধরে চলা এ অভিযানকে জাতিসংঘ ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ' এবং ‘আদিবাসী উচ্ছেদ অভিযান' হিসেবে উল্লেখ করেছে৷

https://p.dw.com/p/2XfPv
Rohingya in Myanmar Kofi Annan
ছবি: DW/V. Hölzl

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে গত বছরের ৯ অক্টোবর নিরাপত্তা ঘাঁটিতে একটি হামলায় ৯ জন পুলিশ নিহত হওয়ার পর ঐ রাজ্যে নিরাপত্তা অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী৷ ঐ অভিযানের পর থেকে বাংলাদেশে গত চার মাসে ৬৯ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে গেছে বলে ধারণা জাতিসংঘের৷ মিয়ানমারে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাউং টুন বুধবার এক বিবৃতিতে জানান, রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল৷ সেনা অভিযান বন্ধ করা হয়েছে, এছাড়া কারফিউও শিথিল করা হয়েছে৷ কেবল শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে সেখানে পুলিশ মোতায়েন আছে৷ 

প্রেসিডেন্টের অফিস বলছে ভিন্ন কথা৷ সেখানকার দুই সিনিয়র কর্মকর্তা এবং তথ্য মন্ত্রী রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে সেনা অভিযান বন্ধের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন৷ তবে সেখানকার নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সেনাবাহিনী এখনও অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন তারা৷

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি৷

বুধবার রাতে কূটনীতিক এবং জাতিসংঘ প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিয়ানমারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, অভিযানে কেউ যদি বলপূর্বক কিছু করে থাকে বা মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া হবে না৷ এদিকে, এই চার মাসে কী ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সেনাবাহিনী এবং পুলিশ সে ব্যাপারে আলাদাভাবে দুটি তদন্ত দল গঠন করেছে৷ অং সান সুচি জাতিসংঘকে এ ব্যাপারে অঙ্গীকার করার পরই দুটি তদন্ত দল গঠন করা হয়৷

অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সেনা অভিযানে দমন, পীড়ন, হত্যা, ধর্ষণের ঘটনায় বিশ্বের সমালোচনার মুখে পড়ে মিয়ানমার সরকার৷ একই সঙ্গে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে৷ অভিযোগ ওঠে দেশটির মুসলিম সংখ্যালঘুদের জন্য তেমন কিছুই করেননি শান্তিতে নোবেল জয়ী এই নেত্রী৷ সুচি নেতৃত্বাধীন সরকার অবশ্য সেদেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷

শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করছেন এমন গত সপ্তাহে দুই জাতিসংঘ কর্মী রয়টার্সকে জানান, সেনা অভিযানে এক হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিমের মৃত্যু হয়েছে৷ অন্যদিকে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট অফিস থেকে বলা হয়েছে, ঐ অভিযানে একশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিমের বাস৷ কিন্তু সেখানে তাদের সাথে অবৈধ অভিবাসীদের মতো আচরণ করা হয়৷ মিয়ানমার সরকার তাদের বাংলাদেশ থেকে আসা অভিবাসী বলে দাবি করে নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকৃতি জানায়৷ প্রায়ই ঐ এলাকায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ঘটে৷ ২০১২ সাল থেকে যা চরম রূপ নেয়৷ গত সপ্তাহে পোপ ফ্রান্সিসও বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নির্যাতন ও হত্যা করা হচ্ছে, কারণ, তারা তাদের ধর্মবিশ্বাস এবং সংস্কৃতি নিয়ে বাঁচতে চায়৷

এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য