রাহুল গান্ধীর অভিষেক
২১ জানুয়ারি ২০১৩রাজস্থানের জয়পুরে কংগ্রেস পার্টির সদ্যসমাপ্ত চিন্তন শিবির নামে বিশেষ অধিবেশনে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ছেলে রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেসের সহ-সভাপতির পদে বসিয়ে ভারতীয় রাজনীতির আঙ্গিনায় তাঁর আনুষ্ঠানিক অভিষেক পর্ব সম্পন্ন করেছেন৷ এর মাধ্যমেই তরুণ প্রজন্মের হাতে তুলে দেয়া হয় দল ও দেশের হাল৷ দলের সহ-সভাপতি হবার পর প্রথম প্রকাশ্য সমাবেশে রাহুলের ভাষণ ছিল আবেগমথিত৷ তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস পার্টি আমার জীবন, ভারতের জনগণ আমার জীবন৷ এদের জন্য আমি লড়াই করে যাব৷''
ক্ষমতার অঙ্গনে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশ তাকিয়ে আছে রাহুলের দিকে৷ গান্ধী পরিবারের ঐতিহ্য বহন করে দেশের মানুষকে কী দিশা দেখান তিনি, দেশ তাকিয়ে আছে তার দিকে৷ ক্ষমতার মোহকে তিনি বিষের সঙ্গে তুলনা করেন৷ বলেন, ‘‘ক্ষমতার বিষে যেন আসক্ত না হই৷ ক্ষমতার ব্যবহার করবো, কণ্ঠহীনদের কণ্ঠ দিতে৷''
তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে দেশের বর্তমান উন্নয়ন পরিস্থিতির নানা দিক৷ পিতা রাজীব গান্ধীর উক্তি তুলে রাহুল বলেন, ‘‘একটা সময় ছিল যখন সরকার এক টাকা খরচ করলে মানুষের কাছে সুফল পৌঁছাতো ১৫ পয়সার৷ আজ সরকার এমন ব্যবস্থা করছে যাতে ৯৯ পয়সার সুফল পায় মানুষ৷ তার জন্য আনা হয়েছে একাধিক কর্মসুচি৷ যেমন, মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্প, খাদ্য সুরক্ষা, শিক্ষার অধিকার ইত্যাদি৷ যুবসমাজ ক্ষুব্ধ, কারণ রাজনৈতিক নেতারা তাঁদের পাত্তা দেয় না৷ মহিলারা ক্ষুব্ধ, কারণ কিছু লোক তাঁদের কণ্ঠ রোধ করছে৷ গরিবদের আওয়াজ পৌঁছায় না ওপরতলা পর্যন্ত৷ তাই কাজ করতে হবে অনেক ভেবেচিন্তে৷ তাড়াহুড়ো করে নয়৷ আর পরিবর্তন আনতে হবে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে৷''
রাহুলের ভাষণকে কেউ কেউ তুলনা করেছেন বারাক ওবামার পরিবর্তনের সঙ্গে, কেউ কেউ করেছেন রাজীব গান্ধীর সঙ্গে৷ আসল লক্ষ্য, আগামী বছরে রাহুলের নেতৃত্বে দলকে জিতিয়ে আনা৷ কংগ্রেস সবার কথা বলবে৷ আজ থেকে রাহুল সবার জন্য কাজ করবে৷