আলোচনা রাজনীতি নিয়ে
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২মওদুদ আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি ঘোষণা করেন আগামী নির্বাচন হবে নির্দলীয় সকারের অধীনে তাহলে তারা বিকল্প প্রস্তাব দেবেন সংসদে গিয়ে৷ জবাবে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, সরকার নির্বাচন করে না, নির্বাচন করে নির্বাচন কমিশন৷ বিরোধী দলের কাছে ভাল কোন প্রস্তাব থাকলে তারা তা সংসদে গিয়ে বলতে পারে৷ ভাল প্রস্তাব গ্রহণে সরকারের কোন আপত্তি নেই৷
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট ব্লেকের ঢাকা সফরের পর রাজনীতির আলোচনা আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়েই ঘুরপাক খাচ্ছে৷ বিএনপির' স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, আসল ব্যাপার হল নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করা৷ সেটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হয়েও অন্য যেকোন নামে হতে পারে৷তিনি দাবি করেন, সংবিধানেই তার ব্যবস্থা রয়েছে৷ ১৯৯৬ সালে সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনী আওয়ামী লীগের ফর্মুলায়ই পাশ হয়েছিল৷ যা এখন বাতিল করা হয়েছে৷ নির্দলীয় সরকারের প্রধান সদ্য বিদায়ী প্রধান বিচারপতি নাও হত পারেন৷ তাদের কাছে এবিষয়ে একাধিক বিকল্প প্রস্তাব আছে৷ কিন্তু সরকারকে আগে নিশ্চিত করতে হবে আগামী নির্বাচন হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে৷ তবেই বিএনপি বিকল্প প্রস্তাবগুলো সংসদে তুলে ধরতে পারে৷
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, আর এই উদ্যোগ নিতে হবে দুই দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে৷ প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হবে আগামী নির্বাচন হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে৷ তার দাবি, দুই দলের সাধারণ নেতা-কর্মীরা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার ব্যাপারে একমত৷
এর জবাবে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, সরকার নির্বাচন করেনা, নির্বাচন করে নির্বাচন কমিশন৷ বিরোধী দলের কাছে ভাল কোন প্রস্তাব থাকলে তারা তা সংসদে গিয়ে বলতে পারে৷ ভাল প্রস্তাব গ্রহণে সরকারের কোন আপত্তি নেই৷
তবে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট ব্লেকের কথায় বাংলাদেশ চলবেনা৷ বাংলাদেশ চলবে এদেশের নিয়ম নীতি অনুযায়ী৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক