রাজনৈতিক দলের আয়-ব্যয়ের ‘রহস্য’
২২ মার্চ ২০২৪সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম মনে করেন, “তারা যে আয়-ব্যয়ের হিসাব দেয় বাস্তবে তা তার চেয়ে শতগুণ বেশি। তারা যে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বড় অংকের চাঁদা নেয়,অনৈতিক সুবিধা দিয়ে বড় ডোনেশন নেয় তা প্রকাশ করে না। কারণ, এটা অবৈধ।”
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমানও মনে করেন, “বড় দুইটি রাজনৈতিক দল (আওায়ামী লীগ ও বিএনপি) যে হিসাব দেয় তা অত কম হওয়া সমীচীন নয়।”
২০০৮ সাল থেকে নিবন্ধনের শর্ত অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচন কমিশনে প্রতি বছর তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে হয়। প্রতি বছর ৩১ জুলাইর মধ্যে আগের বছরের হিসাব দিতে হয়। পর পর তিন বছর আয়-ব্যয়ের হিসাব না দিলে নিবন্ধন বাতিলের বিধান আছে। কিন্তু সেই হিসাব নিয়ে নির্বাচন কমিশন রাখঢাক করে। জমা দেয়ার সময় রাজনৈতিক দলগুলোই শুধু আয় আর ব্যয়ের পরিমাণ জানায়। খাতওয়ারি বা বিস্তারিত হিসাব নির্বাচন কমিশন জানায় না।
ডয়চে ভেলের পক্ষ থেকে বারবার নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করা হলেও কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসাব (অডিট রিপোর্ট) দেয়নি। নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব (তার কাছেই হিসাব জমা থাকে) মো. মইন উদ্দিন খান বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো যে অডিট রিপোর্ট দেয়, তা প্রকাশ করা বিধিতে নাই।” তবে বিধিতে কোথায় নিষেধ করা আছে জানতে চাইলে তা তিনি বলতে পারেননি।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “কোনো দলকে কে অনুদান দিয়েছেন তা তার ব্যক্তিগত তথ্য। এটা যিনি অনুদান দিয়েছেন তিনি প্রকাশ করতে পারেন। তাই ব্যক্তিগত তথ্য বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন তা প্রকাশ করে না। নির্বাচন কমিশন আয়-ব্যয়ের হিসাবটা নেয় সে নির্ধারিত সীমার বেশি খরচ করলো কিনা তা জানতে। আর কোনো রাজনৈতিক দল বিদেশি অনুদান নিতে পারে না। সেটা নেয়া হয়েছে কিনা তা কমিশন দেখে। এর বাইরে কমিশনের কিছু করার নাই, করেও না।”
তবে ২০১৬ সালে হাইকোর্ট এক রিটের প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলের নির্বাচন কমিশনে দেয়া আয়-ব্যয়ের খাতওয়ারি হিসাব পাবলিক ডকুমেন্ট বলে রায় দেয়। তারপরও কমিশন সেটা প্রকাশ করছে না।
২০২৩ সালে ২০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল তাদের ২০২২ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব কমিশনে জমা দিয়েছে। ২২টি দল দেয়নি। আর জাতীয় নির্বাচন শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনের খরচের হিসাব জমা দিতে হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খরচ কোনো দলই এখনো জমা দেয়নি।
রাজনৈতিক দলগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত ফরমে জমা দিতে হয় অডিট রিপোর্ট আকারে। অডিট ফার্ম দিয়ে হিসাব নিরীক্ষা করাতে হয়। রাজনৈতিক দলের জন্য নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত আয়ের ১০টি খাত আছে আর ব্যয়ের খাত আছে ১২টি। আয়ের খাতের মধ্যে সদস্যদের চাঁদা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুদান, বাড়িভাড়া, ব্যাংকের সুদ, মেয়াদি আমানতের সুদ, প্রকাশনা বিক্রি প্রভৃতি। আর ব্যয়ের খাতের মধ্যে আছে কর্মীদের বেতন-ভাতা, আবাসন, প্রশাসনিক খরচ, প্রচার, জনসভা, প্রকাশনা, ইউটিলিটি, যাতায়াত প্রভৃতি।
নির্বাচন কমিশনে দেয়া হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালে আওয়ামী লীগের আয় ১০ কোটি ৭১ লাখ টাকা আর ব্যয় সাত কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এছাড়া তাদের ব্যাংকে জমা আছে ৭৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
অন্যদিকে ওই বছর বিএনপির আয় হয়েছে পাঁচ কোটি ৯২ লাখ চার হাজার ৬৩২ টাকা, ব্যয় হয়েছে তিন কোটি ৮৮ লাখ ৩৩ হাজার ৮০৩ টাকা। তাদের উদ্বৃত্ত আছে দুই কোটি তিন লাখ ৭০ হাজার ৮২৯ টাকা।
২০২২ সালে জাতীয় পার্টির আয় হয়েছে দুই কোটি ২৯ লাখ ১৪ হাজার ৯৬৮টাকা, ব্যয় হয়েছে এক কোটি ২৮ লাখ ৩৭ হাজার ৫৪২ টাকা, ব্যাংকে জমা আছে এক কোটি ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৪২৬ টাকা। এই তথ্য ওই দলগুলো আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়ার পর নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানিয়েছে। তারা আর কোনো তথ্য দেয়নি। বিশেষ করে খাতওয়ারি বা কারা কত অনুদান দিয়েছে তা তারা প্রকাশ করেনি। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, “আমাদের দেয়া আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশন কেন প্রকাশ করবে? আমরা তো অডিট রিপোর্ট জমা দিই। তারাই তো দেখে। আর আমরা তো কত আয় কত ব্যয় তা জানাই। এর বাইরে আর কিছু জানতে হবে কেন? ”
তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, “আমাদের সভা-সমাবেশ ছাড়া আর তেমন কোনো খরচ নেই। আমাদের নিজস্ব ভবন থাকায় অফিস ভাড়া দিতে হয় না। বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলো ডোনেশনেই চলতো। আমরা চেষ্টা করছি নিজস্ব আয়ে চলতে। অন্য রাজনৈতিক দল কীভাবে আয় করে তা আমার জানা নেই।” তবে রাজনৈতিক দলগুলোর আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা থাকা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
আর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, “আমরা সদস্য, শুভাকাঙ্খীদের চাঁদা অনুদানের ওপরই নির্ভর করি। আর কোনো আয় নাই। মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে একটা ভালো আয় হতো, কিন্তু এবার তো আমরা নির্বাচনে যাই নাই। আওয়ামী লীগ তো এবার এই খাতে অনেক আয় করেছে।”
মনোনয়ন বাণিজ্য বা অন্য কোনোভাবে আয় হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সেটা ব্যক্তির হতে পারে। কিন্তু দল তো সেই টাকা পায় না।”
আওয়ামী লীগ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা আয় করেছে। আর সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে সাত কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা আয় করেছে। এই খাতে মোট আয় করেছে ২৪ কোটি ৫৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এবার নির্বাচনে অংশ না নিলেও ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনয় ফরম বিক্রি করে ১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার।
নির্বচনি ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। তবে কমিশনের ওয়েবসাইটে সর্বশেষ ২০০৮ সালের হিসাব আছে।
নির্বাচন কমিশনে দেয়া হিসাব অনুযায়ী, একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ব্যয় করেছে এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৬০ জন প্রার্থী দিয়েছিল। অন্যদিকে বিএনপি ব্যয় করেছে এক কোটি ১১ লাখ ৩৯ হাজার ১২০ টাকা।ওই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি দুই কোটি ১৪ লাখ আট হাজার ২১২ টাকা ব্যয় করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ওয়ার্কার্স পার্টি ব্যয় করেছে এক কোটি ১৪ লাখ টাকা, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট এক কোটি ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকা, জাতীয় পার্টি চার লাখ ৫২ হাজার টাকা। তবে আটটি দল ওই নির্বাচনে কোনো টাকা খরচ করেনি বলে কমিশনে প্রতিবেদন দিয়েছে। ২০১৮ সালে নির্বাচন কশিনের নিয়ম অনুযায়ী, একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারতেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এই নিয়ম ছিল। আর রাজনৈতিক দলগুলো যে হিসাব দিয়েছে তাতে ব্যয় সীমার নীচেই আছে। কিন্তু বাস্তবে কি তা সম্ভব?
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) তাদের এক গবেষণায় বলেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নির্বাচনি প্রচারে গড়ে ব্যয় করেছেন দুই কোটি ৮৬ লাখ টাকার বেশি।
আর বিজয়ী প্রার্থীরা নির্বাচন উপলক্ষে গড়ে তিন কোটি সাড়ে ৯ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। এর মধ্যে একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৩৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন,“ আমরা আরো কয়েকটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি নির্ধারিত সীমার চেয়ে তিন-চার গুণ বেশি খরচ হয়। এটা আংশিক হিসাব। এটা প্রচার প্রচারণার খরচ। তবে নির্বাচনে অনেক বড় আকারের মনোনয়ন বাণিজ্য হয়। এই লেনদেন হয় অনানুষ্ঠানিক। এটা প্রকাশ করা হয় না কখনো।”
তার কথা, ‘‘আর তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব পুরোটাই নির্বচন কমিশনের প্রকাশ করা উচিত। এখানে আইনে কোনো বাধা আছে বলে আমার মনে হয় না। রাজনৈতিক দলের আয়-ব্যয় ব্যক্তিগত তথ্য হতে পারে না। আর তারা যে আয়-ব্যয়ের হিসাব দেয় তা-ও নির্বাচন কমিশনের পরীক্ষা করে দেখার সুযোগ আছে।”
সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো যে আয়-ব্যয়ের হিসাব দেয় সেটা তার চেয়ে বাস্তবে শতগুণ বেশি। তারা যে আয়-ব্যয়ের হিসাব দেয় সেটা হলো কেন্দ্রীয়ভাবে দলের নামে কত টাকা আছে। এখন তারা যখন সভা-সমাবেশ করে, তারা তো টাকা দেয় না। নেতারা নির্দেশনা দেন সভাসমাবেশ করার। সেইভাবে টাকা সংগ্রহ করে সভাসমাবেশ করা হয়। সেই হিসাব তো তারা দেয় না। তারা তো বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা নেয়। অথবা বড় কোনো সুযোগ-সুবিধা দিয়ে বড় ফান্ড নেয়। এটা তো আর দলের ফান্ডে দেখায় না। দলের ফান্ডে দেখালে তা তো অবৈধ হয়ে যাবে। ”
“ নির্বাচনের সময় তো মনোনয়ন-বাণিজ্য হয়। সেটাও তো পার্টির ফান্ডে দেখানো হয় না। আসলে ব্যবসায়ীদের যেমন আসল হিসাব একটা আর এনবিআরের জন্য আরেকটা হিসাব, তেমনি রাজনৈতিক দলও নির্বাচন কমিশনে দেয়ার জন্য একটা হিসাব করে। তার অডিট রিপোর্ট দেয়। তবে প্রকৃত আয়ের হিসাব আলাদা। সেটা তারা জানায় না। অডিট ফার্ম তো আপনি যে আয়-ব্যয় দেখাবেন তার নিরীক্ষা করবে, যেটা তাদের দেখানো হবে না। সেটা তো তারা জানবে না।”
জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ ( জানিপপ)-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেন,“ অ্যামেরিকায় কেউ যদি কোনো পার্টিকে ২০০ ডলারের বেশি চাঁদা দেয় তাহলে তা নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু আমাদের এখানে তো সেটা হয় না। অ্যামেরিকায় ২০০ ডলার আমাদের এখানে ২০০ টাকা। কিন্তু আমাদের এখানে রাজনীতির ক্ষেত্রে যে পরিমাণ টাকা ওড়ে সেটা তো কোটি কোটি। ”
তার মতে, “এটা এখন এভাবে চলছে। তবে এক সময় কঠিন হবে। দাবি উঠবে। তখন হয়তো সব প্রকাশ করতে হবে।”
রাজনৈতিক দলগুলোর আয় ব্যয়ের এই অস্বচ্ছতা আসলে রাজনীতিতে অসততার প্রমাণ দেয়। রাজনীতিকে এই সুযোগে তাই অনেকে বিনিয়োগ হিসেবে নিয়েছেন। তারা অর্থের বিনিময়ে মনোনয়ন কেনে। তার মন্ত্রী এমপি হয়ে সেই বিনিয়োগ তুলে নেয়। কালো টাকাও বিনিয়োগ হয় রাজনীতে, যা পুরো প্রক্রিয়াকেই দুর্নীতির আবর্তে ফেলে দেয়। তাই রাজনীতিকে এখন বড় ব্যবসা বলছেন কেউ কেউ।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, “বড় বড় রাজনৈতিক দল যে আয়-ব্যয়ের হিসাব দেয় তা তো অনেক কম। এত কম হওয়া সমীচীন না। আরো বেশি হওয়া উচিত। আপনি যে দুইটি রাজনৈতিক দলের ( আওয়ামী লীগ ও বিএনপি) নাম বললেন, তারা তো অনেক বড় দল। তাদের যে ফ্যান ফলোয়ার আছে, তারা এক টাকা করে দিলেও তো কোটি কোটি টাকা।”
রাজনৈতিক দলগুলো যে আয়-ব্যয়ের হিসাব দেয় তা নির্বাচন কমিশন কেন প্রকাশ করে না? এ বিষয়ে তিনি বলেন, “বিধিমালায় কী আছে আমার জানা নেই। তবে এটা প্রকাশ করা উচিত। আমি কমিশনে আলাপ করবো যেন প্রকাশ করা হয়, ওয়েব সাইটে দেয়া হয়। তারা দিতে পারলে আমাদের প্রকাশ করতে অসুবিধা কী?”
তিনি বলেন, “আসলে ২০০৮ সাল থেকে এটা শুরু হয়। তারা জমা দেয়, আমরা জমা নিই। আইনে এর বেশি কিছু নেই। আমরা দেখিও না তারা কী হিসাব দিলো। তবে এটা পরীক্ষা করে দেখার বিধান আইনে থাকা উচিত ছিল। আর নির্বাচনি খরচের যে হিসাব দেয় তা-ও আমরা পরীক্ষা করে দেখি না। তারা যা দেয় আদৌ সেটা ঠিক কিনা, এটাও পরীক্ষা করার আইন থাকা দরকার।”
তিনি বলেন, “অনেক প্রার্থী আবার হিসাবই দেয় না। যারা জয়ী হয়, তারা দেয়। যারা পরাজিত হয়, যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়, তাদের তো খুঁজেই পাওয়া যায় না।”