বিচার শেষ হবে কতদিনে?
১৯ জুলাই ২০১৬সোমবার ঢাকার একটি আদালতে ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে৷ এর মধ্যে ৩৮ জনের বিরুদ্ধে সরাসরি নরহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে৷ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার আব্দুল মান্নান ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘‘হত্যার অপরাধ আদালতে প্রমাণ করা গেলে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে৷''
সোমবার ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এসএম কুদ্দুস জামান ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন৷ আদালত মামলার সাক্ষীর জন্য ১৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন৷ রানা প্লাজা ধসের তিন বছর পর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হলো৷
ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৩৫ জন আসামি অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন৷ বাকি ছয়জনকে পলাতক৷ তাদের পলাতক দেখিয়েই এ মামলার বিচার কাজ চলবে৷ আসামিদের মধ্যে ৩৮ জনকে হত্যা এবং বাকিদের অন্যান্য ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খন্দকার আবদুল মান্নান জানান৷
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের ওই ঘটনায় এক হাজার ১৩৫ জন নিহত হন৷ আহত হন এক হাজারেরও বেশি শ্রমিক৷
শুরুতে ভবন ধসে প্রাণহানির ঘটনায় ‘অবহেলাজনিত’ মৃত্যুর অভিযোগে মামলা করেন সাভার থানার এসআই ওয়ালী আশরাফ৷ ওই মামলায় রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাসহ ২১ জনকে আসামি করা হয়৷ তবে তদন্ত শেষে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারি সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর গত বছরের জুন মাসে ৪১ জনকে আসামি করে তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে অভিযোগপত্র দেন৷ তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ৩০২, ৩২৬, ৩২৫, ৩৩৭, ৩৩৮, ৪২৭, ৪৬৫, ৪৭১, ২১২, ১১৪, ১০৯, ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়৷
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার আব্দুল মান্নান জানান, দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ প্রমাণ হলে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে৷ আমরা আশা করি, আমাদের কাছে যে সাক্ষ্য-প্রমাণ আছে তাতে আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করা যাবে৷''
তবে তিনি বলেন, সাক্ষীদের আদালতে হাজির করার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে৷ তাজরিন ফ্যাশনের মামলায় সাক্ষীদের পাওয়া যাচ্ছে না৷ কিন্তু এই মামলায় সাক্ষীদের সময়মতো আদালতে হাজির করা যাবে বলে আশা করি৷''
অন্যদিকে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ইমরাত আইনে দায়ের করা আরেকটি মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে গত ১৪ জুন৷ ২৩ আগস্ট ঐ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে৷
ইমারত আইনে দায়ের করা মামলায় রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা এবং তার বাবা আব্দুল খালেকসহ ১৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে৷
আইনজীবী খন্দকার আব্দুল মান্নান বলেন, ‘‘আশা করি, দু'টি মামলার বিচার কাজ শেষ হতে তেমন সময় লাগবে না৷''
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ইতিহাসে এত বড় দুর্যোগ বোধ হয় আর আসেনি...আপনি কি সে সময় ঢাকায় ছিলেন? আপনার কী মনে আছে? জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷