1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিচার শেষ হবে কতদিনে?

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৯ জুলাই ২০১৬

রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় হত্যা মামলার বিচার কাজ অনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে৷ ঘটনার তিন বছর পর এই অগ্রগতিতে আশ্বস্ত হতে পারছেন না অনেকে৷ আইনজীবীর প্রত্যাশা – বিচার কাজ শেষ হতে যেন আর বেশি সময় না লাগে৷

https://p.dw.com/p/1JRWU
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Abdullah

সোমবার ঢাকার একটি আদালতে ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে৷ এর মধ্যে ৩৮ জনের বিরুদ্ধে সরাসরি নরহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে৷ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার আব্দুল মান্নান ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘‘হত্যার অপরাধ আদালতে প্রমাণ করা গেলে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে৷''

সোমবার ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এসএম কুদ্দুস জামান ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন৷ আদালত মামলার সাক্ষীর জন্য ১৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন৷ রানা প্লাজা ধসের তিন বছর পর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হলো৷

ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৩৫ জন আসামি অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন৷ বাকি ছয়জনকে পলাতক৷ তাদের পলাতক দেখিয়েই এ মামলার বিচার কাজ চলবে৷ আসামিদের মধ্যে ৩৮ জনকে হত্যা এবং বাকিদের অন্যান্য ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খন্দকার আবদুল মান্নান জানান৷

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের ওই ঘটনায় এক হাজার ১৩৫ জন নিহত হন৷ আহত হন এক হাজারেরও বেশি শ্রমিক৷

আব্দুল মান্নান

শুরুতে ভবন ধসে প্রাণহানির ঘটনায় ‘অবহেলাজনিত’ মৃত্যুর অভিযোগে মামলা করেন সাভার থানার এসআই ওয়ালী আশরাফ৷ ওই মামলায় রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাসহ ২১ জনকে আসামি করা হয়৷ তবে তদন্ত শেষে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারি সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর গত বছরের জুন মাসে ৪১ জনকে আসামি করে তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে অভিযোগপত্র দেন৷ তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ৩০২, ৩২৬, ৩২৫, ৩৩৭, ৩৩৮, ৪২৭, ৪৬৫, ৪৭১, ২১২, ১১৪, ১০৯, ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়৷

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার আব্দুল মান্নান জানান, দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ প্রমাণ হলে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে৷ আমরা আশা করি, আমাদের কাছে যে সাক্ষ্য-প্রমাণ আছে তাতে আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করা যাবে৷''

তবে তিনি বলেন, সাক্ষীদের আদালতে হাজির করার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে৷ তাজরিন ফ্যাশনের মামলায় সাক্ষীদের পাওয়া যাচ্ছে না৷ কিন্তু এই মামলায় সাক্ষীদের সময়মতো আদালতে হাজির করা যাবে বলে আশা করি৷''

অন্যদিকে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ইমরাত আইনে দায়ের করা আরেকটি মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে গত ১৪ জুন৷ ২৩ আগস্ট ঐ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে৷

ইমারত আইনে দায়ের করা মামলায় রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা এবং তার বাবা আব্দুল খালেকসহ ১৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে৷

আইনজীবী খন্দকার আব্দুল মান্নান বলেন, ‘‘আশা করি, দু'টি মামলার বিচার কাজ শেষ হতে তেমন সময় লাগবে না৷''

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ইতিহাসে এত বড় দুর্যোগ বোধ হয় আর আসেনি...আপনি কি সে সময় ঢাকায় ছিলেন? আপনার কী মনে আছে? জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান