1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়া ও ট্রাম্প প্রচার অভিযান

২১ মার্চ ২০১৭

জেমস কোমি সোমবার হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর ইন্টোলিজেন্স কমিটিকে বলেন যে, এফবিআই বাস্তবিক ট্রাম্প প্রচার অভিযানের সঙ্গে রুশ সরকারের সম্পর্কের ব্যাপারে তদন্ত করছে৷

https://p.dw.com/p/2ZchQ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: picture alliance/Marovich/ Pool via CNP/MediaP

‘‘ট্রাম্পের প্রচার অভিযানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের রুশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের প্রকৃতি'' – এই তদন্তের একটি বিষয়, বলে কোমি জানান৷ ট্রাম্প ক্যাম্পেইন ও মস্কোর কার্যকলাপের মধ্যে কোনো সম্ভাব্য সমন্বয় ছিল কিনা, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, বলেন কোমি৷

কোমি প্যানেলকে বলেন যে, তিনি একটি চলতি তদন্তের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করার অ-গতানুগতিক পদক্ষেপ নিয়েছেন এই কারণে যে, এই ঘটনায় জনসাধারণের গভীর আগ্রহ আছে৷ তবে তদন্ত চলেছে বলেই তাঁর পক্ষে এফবিআই কোন পন্থা অনুসরণ করছে বা অথবা কার আচরণ খুঁটিয়ে দেখছে, সে ব্যাপারে এর চাইতে বেশি কিছু বলাটা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয় – বলে কোমি মন্তব্য করেন৷

ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির পরিচালক মাইক রজার্স-ও প্যানেলের সামনে সাক্ষ্য দেন এবং ট্রাম্পের ক্যামপেইন সহযোগীদের সঙ্গে রাশিয়ার সম্ভাব্য যোগাযোগের ব্যাপারে তদন্তের কথা স্বীকার করেন৷

ট্রাম্পের উপর আড়ি পাতা নিয়ে অভিযোগ

ওবামা প্রশাসন খোদ ট্রাম্প টাওয়ারে তাঁর উপর আড়ি পেতেছে, বলে ট্রাম্প যে অভিযোগ করেছেন, হাউসের কমিটি সেটাও পরীক্ষা করে দেখছে৷ গত চৌঠা মার্চ ট্রাম্প একাধিক টুইটে এই দাবি তোলেন৷ এফবিআই প্রধান কোমি সোমবার তাঁর শুনানিতে বলেছেন যে, ‘‘এই সব টুইট সমর্থন করার মতো কোনো তথ্য নেই''৷

হোয়াইট হাউস গত সপ্তাহে আভাস দেয় যে, ব্রিটেনের জিসিএইচকিউ সিগনালস ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি ট্রাম্পের উপর আড়ি পাতায় ওবামাকে সাহায্য করেছে – ব্রিটিশ সরকার যে অভিযোগকে ‘‘পুরোপুরি হাস্যকর'' বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ রজার্স তাঁর শুনানিতে বলেন, আড়ি পাতার অভিযোগ সমর্থন করার মতো কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ এনএসএ-র কাছে নেই৷

দ্য রাশিয়ান কনেকশান

গত বছর মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ঘোষণা করে যে, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতিষ্ঠানগুলির উপর হ্যাকিং আক্রমণ সম্ভবত রুশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে পরিচালিত হয়েছে৷ রজার্স এবং কোমি উভয়েই তাদের শুনানিতে বলেন যে, গোয়েন্দা বিভাগগুলি তাদের সেই অভিমত বদলায়নি৷

কোমি সোমবার তাঁর শুনানিতে বলেন যে, রাশিয়া ক্লিন্টনকে ‘‘দেখতে পারে না'' এবং রাশিয়া চেয়েছিল যে, ক্লিন্টন নির্বাচনে পরাজিত হোন৷

গত মাসে ট্রাম্পের প্রথম জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন পদত্যাগ করতে বাধ্য হন, কেননা তিনি রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তাঁর দেখা-সাক্ষাতের ব্যাপারে পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেননি৷ গত সপ্তাহে জানা যায় যে, ২০১৫ সালে রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ সম্পন্ন একাধিক কোম্পানি ফ্লিন-কে ৬৫,০০০ ডলার পেমেন্ট করেছে৷

হোয়াইট হাউসের প্রতিক্রিয়া

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সন স্পাইসার একটি প্রেস ব্রিফিং-এ বলেছেন যে, ট্রাম্পের টিমের যে রাশিয়ার সঙ্গে যোগসাজস ছিল, তার কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই৷ ‘‘তদন্ত করা আর তার সাক্ষ্যপ্রমাণ থাকা দু'টো আলাদা ব্যাপার'', বলেন তিনি৷

অপরদিকে স্পাইসার দৃশ্যত ট্রাম্প টিমের দু'জন প্রাক্তন সদস্যের থেকে হোয়াইট হাউসের দূরত্বের কথাটা জাহির করতে আগ্রহী৷ যে কারণে স্পাইসার সোমবার মাইকেল ফ্লিনকে ট্রাম্প প্রচার অভিযানের একজন ‘‘স্বেচ্ছাসেবী'' হিসেবে উল্লেখ করেন৷

আরেক বিতর্কিত সদস্য পল মানাফোর্ট সম্পর্কে স্পাইসার বলেছেন, মানাফোর্ট ‘‘অতি স্বল্পসময়ের জন্য একটি অতি সীমিত ভূমিকা পালন করেছেন''৷ মানাফোর্ট ট্রাম্প ক্যামপেইন থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হন কেননা তিনি অতীতে একাধিক বিদেশি সরকার, এমনকি রাশিয়াপন্থি ইউক্রেনীয় নেতাদের হয়ে কাজ করেছেন, বলে খবর ছিল৷

এসি/ডিজি (এপি, রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য