আবারো মাঠে নামছে হেফাজত
২৪ মার্চ ২০১৬স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ ১৯৮৮ সালের ৫ই জুন সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে সংযুক্ত করার পর, সেই বছরই সাবেক প্রধান বিচারপতি কামাল উদ্দিন হোসেনসহ ১৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন৷ রুল দেয়ার পর দীর্ঘ ২৩ বছর আবেদনটি হাইকোর্টে বিচারাধীন ছিল৷ গত ২৯শে ফেব্রয়ারি হাইকোর্টে এই রুলের ওপর শুনানি হয়৷
শুনানি শুরুর পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দিতে শুরু করে হেফাজতে ইসলাম৷ পরবর্তী শুনানির দিন ২৭শে মার্চ৷ তাই এরইমধ্যে রিটের শুনানি স্থগিত এবং রিট বাতিলের দাবি জানিয়েছে তারা৷ তবে হেফাজত একা নয়, তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরো কিছু ইসলামি দল৷
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মাহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘আমরা মনে করি যারা এই রিট করেছেন তারা শুধু ইসলাম না, তারা সব ধর্ম বিরোধী৷ তারা ইসলামের অবমাননা করছেন৷ মুসলমানদের এই দেশে ইসলামের অবমামনা সহ্য করা হবে না৷''
তিনি বলেন, ‘‘আমরা আশা করি এই রিট খারিজ হবে এবং তা বাতিল করা হবে৷ আর সেটা যদি না করা হয়, তাহলে দেশের মানুষ তা মানবে না৷ আমরা আইন মানি, বিচারবিভাগ মানি৷ কিন্তু আল্লাহর আইনের ওপর বড় কোনো আইন নেই৷ এই দেশে ইসলামবিরোধী কোনো আইন বা সিদ্ধান্ত চলবে না৷ তাই রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম আছে, থাকবে৷''
তিনি জানান, শুক্রবার এই রিটের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের পর আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে৷
এ নিয়ে রিটের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা ইসলামের বিরুদ্ধে রিট করিনি৷ আমাদের অবস্থান ইসলামের বিরুদ্ধেও নয়৷ আমরা সংবিধান সমুন্নত রাখার জন্য লড়াই করছি৷ সংবিধানের ৮, ১২ এবং ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে রাষ্ট্রধর্ম বিষয়টি সাংঘর্ষিক৷ সংবিধান সব ধর্ম এবং সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার এবং সমনীতির নিশ্চয়তা দিয়েছে, যার মূলনীতি হলো ধর্মনিরপেক্ষতা৷ রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মাধ্যমে এই নীতি ক্ষুণ্ণ হয়েছে৷''
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমরা ভীত নই৷ জীবনের ভয় করি না৷ জীবনের ভয় করলে মানুষের অধিকার নিয়ে লড়াই করতাম না৷''
আপনি কি হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিকে সমর্থন করেন?