লকডাউন শুরুর আগে জার্মানিতে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড
১৬ ডিসেম্বর ২০২০এক সপ্তাহ আগে গত শুক্রবার মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫৯৮৷ কঠোর লকডাউনে শুরুতেই বুধবার নতুন সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭,৭২৮৷ করোনভাইরাস সমস্যায় এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছেছে ২৩,৪২৭৷ জার্মানির জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটের দেওয়া তথ্য মতে, মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সংক্রমিতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ২৩৮৷ তবে এদের মধ্যে ভাইরাস থেকে আবার সুস্থ হয়ে উঠেছে ১০ লাখেরও বেশি৷
আরকেআই এর হিসেব অনুযায়ী সারা জার্মনিতে গড়ে গত সাত দিনে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৯ দশমিক ৮ এবং স্যাকসনির মতো কয়েকটি রাজ্যে এই হার আরো অনেক বেশি৷ এখন সরকারের লক্ষ্য এই হার কমিয়ে ৫০-এ আনা ৷ তরুণদের মধ্যে সংক্রমণের হার কিছুটা কমেছে৷ তবে এখনও বয়স্কদের মধ্যে যারা গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন তাদের মধ্যে সংক্রমণের হার বাড়ছে৷
জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পানের দাবি মঙ্গলবার ইইউ ভ্যাকসিন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এক আশার আলো দেখিয়েছে৷ এর ফলে ২৯ ডিসেম্বর থেকে জার্মানিতে বায়োনটেক ফাইজার ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হতে পারে৷
বুধবার থেকে কঠোর লকডাউনের শুরু থেকে যে পরিষেবাগুলো খোলা থাকতে পারে সেগুলো হচ্ছে, দোকান, সাপ্তাহিক বাজার, পিক আপ এবং ডেলিভারি সার্ভিস,স্বাস্থ্যকর খাবার, পানীয় বিক্রির দোকান, শিশুদের প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান, মেডিকেল স্টোর, পোষা প্রাণী ও পশু খাবারের দোকান, ফার্মেসি ওষুধের দোকান, চোখ-কান সেবা সার্ভিস, পেট্রোল পাম্প, ব্যাংক, পোস্ট অফিস, লন্ড্রি, হকার, পাইকারী ও ক্রিসমাস ট্রি কেনার দোকান ইত্যাদি খোলা রাখা যাবে৷ এবং বইয়ের দোকান রাজ্য অনুযায়ী আংশিক খোলা রাখা যাবে ৷ কঠোর লকডাউন কমপক্ষে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে ৷
জার্মানির গ্রিন পার্টির সংসদ সদস্য এবং ডাক্তার ইয়ানোশ ডাহমেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘জার্মানির করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি বর্তমানে সত্যিই চাপের মধ্যে রয়েছে৷ করোনার প্রথম ঢেউ জার্মানি সাফল্যের সাথে কাটিয়ে উঠেছিল৷''
করোনা সংকট মোকাবেলা করে স্বাভাবিকতায় ফিরে যেতে ভ্যাকসিনকেই একমাত্র উপায় বলে তিনি মনে করেন৷
এনএস/কেএম (ডিপিএ,এএফপি, রয়টার্স)