লকডাউনে মোটা বাচ্চাদের ওজন আরো বাড়ছে
১৭ এপ্রিল ২০২০মা-বাবা হোম অফিস করায় শিশুরা স্বাভাবিকভাবেই বিরক্ত বোধ করে৷ শিশুদের শান্ত রাখার সহজ উপায় হিসেবে বেছে নেন তারা পিৎসা, বার্গার বা এ ধরনের ওজন বাড়ানোর মতো তৈরি খাবার৷ ‘‘করোনা সংকটে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কায়ই যে শুধু অনেকে অতিরিক্ত খাবার ঘরে রেখেছে তা নয়৷ অনেক বাড়িতে নানা ধরনের প্রচুর খাবার সবসময়ই মজুদ রাখা হয়৷ তবে বাচ্চারা কি খায় সেটা জরুরি নয়, খাবারের পরিমাণ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷'' একথা বলেন বাড ওয়েনহাউজেনের করসো ক্লিনিকের ‘ইটিং ডিসঅর্ডার' রোগ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ থোমাস হুবার৷
অনেক পরিবার আছে যারা কখনো তাদের বাচ্চাদের অতিরিক্ত মোটা বা ওজনের ব্যাপারটি খেয়াল করেনি৷ এবার তারা বুঝতে পারলেও এর সমাধানের পথ তাদের জানা নেই৷ বাচ্চাদের সামনে থেকে খাবার সরিয়ে রাখা কোনো ভালো সমাধান নয়৷ বরং সবাই মিলে আলোচনা করাই বেশি উপকারী৷ এবং এ ক্ষেত্রে শিশুদের প্রফেশনাল থেরাপি প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ থোমাস হুবার৷
স্থূল শিশু-কিশোররা করোনা পরিস্থিতিতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ শরীরচর্চা বা খেলাধুলা ছাড়া খাওয়া, টিভি দেখা এবং স্যোশাল মিডিয়ায় নানাভাবে সম্পৃক্ত থাকায় ওজন বাড়ার সুযোগ অনেকটাই বেশি থাকছে৷ টিভি বা ল্যাপটপ দেখার সময় বাচ্চারা নেশার মতো কত চিপস, চকলেটের প্যাকেট শেষ করছে বা কোক পান করছে তার হিসেবও নেই৷
এই মুহূর্তে অতিরিক্ত মোটা কিশোর-কিশোরীদের ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে টেলিফোনে পরামর্শ দিচ্ছে বার্লিনের চারিটে শিশু ক্লিনিকের সুজানা ভিগান্ড৷‘‘ রান্না, খাওয়া দাওয়া বা গল্প করার মতো কাজগুলো মিলেমিশে করা উচিত৷ এসবই বাচ্চাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে৷ যেসব পরিবারে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো রুটিন বা নিয়ম-কানুন মানা হয় না, সেসব পরিবারের শিশুদের সমস্যা সবসময়ই বেশি হয়ে থাকে৷''
জার্মানির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব মতে, জার্মানিতে ৩ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের মধ্যে শতকরা ৮.৭ ভাগ শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের ওজন মাত্রাতিরিক্ত৷ আর শতকরা ৬.৩ ভাগের অবস্থা আরো ভয়াবহ৷ অতিরিক্ত মোটা শিশু-কিশোররা প্রাপ্ত বয়স্ক হয়েও মোটাই থেকে যায়৷ এবং পরবর্তীতে তাদের কার্ডিওভাসকুলার, জয়েন্টের সমস্যা বা বিষন্নতার মতো অসুখ দেখা দেয়৷
গুডরুন হাইজে/ এনএস