1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লাগে টাকা দেবে ইসিবি?

২৯ অক্টোবর ২০২০

করোনা সংকটে বিপর্যস্ত ইউরোপের অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিতে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে৷ ডিসেম্বর মাসেই ইসিবি আরও পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3kaWi
ছবি: Imago-Images/STPP

করোনা সংকটের ‘দ্বিতীয় ঢেউ’-এর ফলে বিপর্যস্ত ইউরোপের মানুষ৷ আপাতত সংক্রমণ, চিকিৎসা ও পরীক্ষার মতো বিষয়গুলি প্রাধান্য পেলেও এই সংকটের অর্থনৈতিক পরিণাম সম্পর্কে বার বার সতর্ক করে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷ বিভিন্ন দেশের সরকার সংকট সামলাতে আর্থিক প্রণোদনা ও সাহায্য ঘোষণা করে চলেছে, যদিও তার ফলে বাজেট ঘাটতির মাত্রা বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে৷ চাকুরি বাঁচানো, কর্মসংস্থান, লোকসানের ক্ষতিপূরণের মতো সমস্যা সামাল দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্তরেও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে৷ এবার ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপর আরও পদক্ষেপ নেবার জন্য চাপ বাড়ছে৷

ইউরোপে মন্দার আশঙ্কা দূরে রাখতে ইসিবি অতীতেও বার বার হস্তক্ষেপ করে এসেছে৷ করোনা সংকটের প্রথম পর্যায়েও এই প্রতিষ্ঠান কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে৷ এক লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার কোটি ইউরো অঙ্কের ‘প্যান্ডেমিক এমারজেন্সি পারচেজ প্রোগ্রাম’-এর ফলে মন্দার মাত্রা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ তবে জার্মানি ও ফ্রান্সের বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে আরও স্টিমুলাস বা প্রণোদনা ঘোষণার জন্য ইসিবির উপর চাপ বাড়ছে৷ এই মুহূর্তে সম্ভবত তেমন কোনো পদক্ষেপ না নিলেও ডিসেম্বর মাসে দীর্ঘমেয়াদী সহায়তার ঘোষণা করতে পারে ইসিবি৷ প্রতিষ্ঠানের প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দ এমন পথে এগোবেন বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷ আগামী ১০ই ডিসেম্বরের বৈঠকের পর বর্তমান কর্মসূচি আরও সম্প্রসারণ করতে পারেন তিনি৷ উল্লেখ্য, বর্তমানে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত কর্মসূচির মেয়াদ স্থির করা হয়েছে৷ এই উদ্যোগের আওতায় কর্মসূচির আর্থিক অঙ্কও বাড়ানো হতে পারে৷

বর্তমান সংকট সত্ত্বেও ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্বাভাষ অনুযায়ী ২০২২ সালের শেষের মধ্যে ইউরোপের অর্থনীতি ধাক্কা সামলে নিয়ে সংকটের আগের অবস্থায় ফিরে যাবে৷ তবে ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন ও ইটালির মতো ইউরো এলাকার বড় দেশগুলির অর্থনীতির বেহাল অবস্থার আলোকে সেই পূ্র্বাভাষ নিয়ে সংশয় দেখা দিচ্ছে৷

এমন প্রেক্ষাপটে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্ষমতার সীমা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ বর্তমানে মাসে প্রায় ১০ হাজার কোটি ইউরো অঙ্কের ঋণ কেনার মাধ্যমে ইসিবি বাজারে সুদের হার রেকর্ড মাত্রায় কমিয়ে এনেছে৷ কিন্তু এর ফলে ব্যাংকগুলি গ্রাহকদের সস্তায় ঋণ দিতে পারলেও ঋণের মানের অধঃপতন নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷ শুক্রবার ইউরো এলাকায় মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশিত হবার পর ইসিবি-র হস্তক্ষেপের ক্ষমতার সীমা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে পারে৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য