1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লাদাখ নথি সরিয়ে দিল মোদী সরকার!

৮ অক্টোবর ২০২০

লাদাখ সংঘাতের নথি দেখিয়ে সরকারকে প্রশ্ন করছে বিরোধীরা। তাই ২০১৭ সাল থেকে সমস্ত নথি ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে দিল কেন্দ্র। 

https://p.dw.com/p/3jbGp
ছবি: Musaib Mushtaq/Pacific Press/picture alliance

লাদাখ পরিস্থিতি কি আরও জটিল হয়েছে? ভারতে বহু বিশেষজ্ঞই নতুন করে এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন কারণ, ২০১৭ সাল থেকে ভারত-চীন সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকে তুলে নিয়েছে সরকার। কিছু দিন আগেই লাদাখের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রতিরক্ষামন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক হয়েছিল। এ বার ২০১৭ সাল থেকে সমস্ত নথি তুলে নেওয়া হলো।

প্রতিরক্ষামন্ত্রকের সূত্র অবশ্য ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, সাময়িক সময়ের জন্যই সমস্ত নথি তুলে নেওয়া হয়েছে। নথিগুলিকে পরিবর্ধন করে ফের সাইটে আপলোড করা হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, একবার যে নথি সাইটে দেওয়া হয়, তা তুলে নিয়ে কি এ ভাবে পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা যায়? তথ্য জানার অধিকার আইনেই সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়েও জানার অধিকার আছে সাধারণ মানুষের। সে কারণেই গোপন নথি ছাড়া সব কিছুই প্রতিরক্ষামন্ত্রকের ওয়েব সাইটে আপলোড করা হয়। ২০১৭ থেকে সাম্প্রতিক গন্ডগোলের আগে পর্যন্ত বিভিন্ন নথিতে ভারত-চীন সীমান্তের উল্লেখ চারবার করা হয়েছিল। তবে গত অগাস্টের রিপোর্টে বিস্তারিত ভাবে ভারত-চীন সংঘাতের বিষয়ে বলা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, ৫ মে-র পর থেকেই চীনের সেনা স্থান পরিবর্তন করে। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-ও বলেছেন, চীনের সেনা অবস্থান পরিবর্তন করে ভারতের দিকে এগিয়েছে। তবে রাজনাথ একই সঙ্গে বলেছেন, চীনের সেনা এলএসি পার করেনি।

বিতর্ক এখানেই। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রকের ওয়েবসাইটের একটি নথি চিহ্নিত করে প্রশ্ন করেছিলেন, 'প্রধানমন্ত্রী কি মিথ্যে বলছেন?' কেন এই মিথ্যের প্রসঙ্গ আসছে? ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সালের অগাস্ট পর্যন্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রক যে নথি ওয়েবসাইটে দিয়েছিল, তা থেকেই পরিষ্কার, চীনের সেনা ভারতের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী বলছেন, এলএসি পার করে চীনের সেনা ঢুকতে পারেনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। ফলে বিতর্ক এড়াতেই সমস্ত নথি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

ভারতীয় সেনার এক উচ্চ পদস্থ অফিসার ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, লাদাখ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না মূলত দুইটি কারণে। দুই দেশই নিজেদের পূর্ব অবস্থান থেকে এগিয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট দখল করেছে। দুই দেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ধারণা ভিন্ন। ভারত যা নিজের এলাকা বলে মনে করে, চীন তা করে না। ফলে, সমাধানসূত্র তৈরি হচ্ছে না।

২০১৭ সালে ডোকালামে ৭২ দিন স্ট্যান্ড অফের পরে সমাধান সূত্র মিলেছিল। লাদাখে বহু মাস পেরিয়ে গিয়েছে কিন্তু সমাধান সূত্র মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা বার বার প্রশ্ন তুলছে। সে কারণেই নথি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।