1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিটভিনেঙ্কো রিপোর্ট পুটিনের বিরুদ্ধে

ইঙ্গো মানটয়ফেল/এসি২২ জানুয়ারি ২০১৬

২০০৬ সালে লন্ডনে খুন হন সাবেক রুশ গুপ্তচর আলেক্সান্ডার লিটভিনেঙ্কো, সম্ভবত পোলোনিয়ামের বিষক্রিয়ায়৷ তদন্তের রিপোর্টে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের ‘‘সম্ভাব্য অনুমোদনের'' কথা বলা হয়েছে৷ ইঙ্গো মানটয়ফেলের সংবাদভাষ্য৷

https://p.dw.com/p/1HiNz
Russland Alexander Litvinenko
ছবি: Reuters/V. Djachkov

লিটভিনেঙ্কো হত্যার তদন্ত রিপোর্ট বিপুল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে বটে, কিন্তু আইনগতভাবে এই রিপোর্টের কোনো ফলশ্রুতি নেই এবং তার রাজনৈতিক প্রভাবও অকিঞ্চিৎকর হবে, বলে ধরে নেওয়া যায়৷

লিটভিনেঙ্কোর চায়ে তেজস্ক্রিয় পোলোনিয়াম মিশিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, এ খবর প্রকাশিত হবার সাথে সাথে সন্দেহ গিয়ে পড়ে রুশ কর্তৃপক্ষের উপর: তাদের কি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনো সংযোগ ছিল?

সন্দেহের একটা কারণ ছিল এই যে, সাধারণ মানুষের পক্ষে পোলোনিয়াম সংগ্রহ করা খুব সোজা কাজ নয়৷ অন্যদিকে বিষ প্রয়োগে মৃত্যুর আগে আলেক্সান্ডার লিটভিনেঙ্কোর সাক্ষাৎ হয়েছিল আন্দ্রেই লুগোভয় ও দিমিত্রি কোভতুন নামের দুই রুশির সঙ্গে৷ উভয়েই আজ পর্যন্ত সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে যাচ্ছেন৷ বলতে কি, লন্ডনে তাদের কখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি বা তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি৷ ওদিকে রুশ কর্তৃপক্ষ তাদের হস্তান্তর করতে নারাজ৷

আইনসম্মত অভিযোগ নয়, শুধু অভিযোগমূলক একটি রিপোর্ট

বিষয়টির সবচেয়ে কৌতূহলোদ্দীপক অঙ্গ হলো অপর একটি প্রশ্ন: লিটভিনেঙ্কো হত্যায় রুশ গুপ্তচর বিভাগ এফএসবি কী পরিমাণে সংশ্লিষ্ট ছিল, এবং বিভাগীয় প্রধান নিকোলাই পাত্রুশেভ ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন সরাসরি তার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিনা৷ এই দীর্ঘসূত্রী ব্রিটিশ তদন্তে সেই প্রশ্নেরই উত্তর পাবার চেষ্টা করা হয়েছে৷

Mannteufel Ingo Kommentarbild App
ইঙ্গো মানটয়ফেল, ডয়চে ভেলে

যেহেতু কোনো অভিযাগপত্র দাখিল করা হয়নি, সেহেতু বিচারক রবার্ট ওয়েন ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করতে পেরেছেন৷ এবং আদালতের রায় না হলেও, ওয়েন যে চাঞ্চল্যকর সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন, সেটি হলো এই যে, দুই মূল সন্দেহভাজন ব্যক্তি, লুগোভয় ও কোভতুন, যে শুধু এফএসবি-র নির্দেশে কাজ করেছেন, এমন নয়, এফএসবি প্রধান নিকোলাই পাত্রুশেভ ও রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিন ‘‘সম্ভবত'' লিটভিনেঙ্কোকে হত্যা অনুমোদন করেছিলেন৷ এর চাইতে বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব ছিল কি?

ফলশ্রুতি নেই বললেই চলে

কিন্তু যতদিন পর্যন্ত না মুখ্য সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের হস্তান্তর করে ব্রিটেনের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এই রিপোর্টের আইনগত ফলশ্রুতি নগণ্যই থাকবে৷ এমনকি রুশ-ব্রিটিশ সম্পর্কের উপরেও তার প্রভাব সীমিতই হবে: তার কারণ এই যে, গত দশ বছরে দু'টি দেশের সম্পর্ক শীতল হতে হতে এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, আর অবনতি ঘটা বোধহয় সম্ভব নয়৷

অপরদিকে এ-ও সত্য যে, এই ইন্টারনেট আর সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বিচারক রবার্ট ওয়েনের প্রকাশিত রিপোর্ট একটি ব্রিটিশ আদালতে পুটিনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণারই সমতুল হবে৷

লিটভিনেঙ্কো হত্যায় পুটিনের সংশ্লেষ সম্পর্কে আপনার রায় কী? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান