লিবিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে আজ লন্ডনে সম্মেলন
২৯ মার্চ ২০১১সবশেষ পরিস্থিতি
সোমবার গাদ্দাফির জন্মভূমি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায় বিদ্রোহীরা৷ কিন্তু গাদ্দাফি বাহিনীর প্রবল প্রতিরোধের মুখে সেটা সম্ভব হয়নি৷ আজদাবিয়া, ব্রেগা, রাস লানুফ এসব শহর যেমন খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে নিতে পেরেছে বিদ্রোহীরা সির্টের ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হয়নি৷ এদিকে লিবিয়ার সাবেক বিচারমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিদ্রোহীরা যে জাতীয় পরিষদ গঠন করেছে তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে কাতার৷ এর আগে ফ্রান্স ঐ পরিষদকে স্বীকৃতি দিয়েছিল৷
ওবামা
লিবিয়ায় অভিযানের ব্যাপারে মার্কিন জনগণকে বিস্তারিত জানাতে আজ একটি ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ সেখানে তিনি বলেন অভিযানের কারণে লিবিয়ায় নির্বিচারে মানুষ হত্যা বন্ধ করা গেছে৷ তবে তাঁর কথাবার্তায় বোঝা গেছে যে, সামরিক অভিযানের চেয়ে দেশটিতে অন্য কোনোভাবে পরিবর্তন আনার পক্ষে তিনি৷ কারণ গাদ্দাফিকে সামরিক উপায়ে সরাতে গেলে ইরাকের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে তিনি সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন৷ তাই একটা বিষয় তিনি আবারও পরিস্কার করেছেন যে, অভিযানে মার্কিন অংশগ্রহণ সীমিত থাকবে৷
ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ওবামার কথা
ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ওবামা কথা বলেছেন ডেভিড ক্যামেরন, নিকোলা সার্কোজি ও আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে৷ তাঁরা প্রত্যেকেই একমত হয়েছেন যে, গাদ্দাফি ক্ষমতায় থাকার বৈধতা হারিয়েছেন৷ এবং এখন তাঁর চলে যাওয়া উচিত৷ এদিকে ক্যামেরন আর সার্কোজি যৌথ এক বিবৃতিতে গাদ্দাফির সমর্থকদের তার পক্ষ ত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন৷ এতে খানিকটা কাজও হয়েছে বলে মনে হচ্ছে৷ কারণ আল জাজিরা টেলিভিশনে দেখা গেছে লিবিয়ার সেনাবাহিনীর ১০ কর্মকর্তার একটি দল বলছে যে, তাঁরা গাদ্দাফি পক্ষ ছেড়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন৷
লন্ডন সম্মেলন
লিবিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে আজ লন্ডনে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে৷ সেখানে ইউরোপ, অ্যামেরিকা সহ জাতিসংঘ, আফ্রিকান ইউনিয়ন ও আরব লিগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম