লিবিয়ায় থাকা এক বাংলাদেশির পরামর্শ
২১ জুলাই ২০১৯এরপর কী হয়েছে, তা তিনি সম্প্রতি জানিয়েছেন থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে৷ স্বপন বলেন, লিবিয়ায় যাদের তাঁকে চাকরি দেয়ার কথা ছিল তারাই তাঁকে অপহরণ করেছিল৷ এরপর তাদের দাবি অনুযায়ী টাকা দেয়ার পর আরেক গ্রুপের হাতে তাঁকে তুলে দেয়া হয় বলে জানান স্বপন৷ শেষ পর্যন্ত ১০ লাখ টাকা খরচ করে মুক্তি পান তিনি৷
এখন একসঙ্গে দু'টি কাজ করছেন স্বপন৷ ফলে ঘুমানোর তেমন একটা সুযোগ পান না তিনি৷ অথচ মাসে আয় করছেন মাত্র ২৭৫ ডলার বা ২৩ হাজার টাকা, যা চেষ্টা করলে বাংলাদেশেই আয় করতে পারতেন তিনি৷
‘‘আর কী করতে পারি আমি? শুধু লিবিয়ায় আসার জন্যই আমি অনেক ঋণ করেছি৷ এখানে না আসার জন্য আমি বাংলাদেশিদের পরামর্শ দিতে চাই৷ আপনি জানেন না, আপনি বাঁচবেন, না মারা যাবেন,'' থমসন রয়টার্সকে বলেন স্বপন৷
তাঁর মতো সাজ্জাদ হোসেনও ছয়মাস আগে ইউরোপে উন্নত জীবন গড়ার আশায় লিবিয়া গিয়েছিলেন৷ লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যেতে চেয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু ধরা পড়ে লিবিয়ার ত্রিপোলির একটি কেন্দ্রে আটক ছিলেন৷
সম্প্রতি ঐ কেন্দ্রে আকাশ থেকে চালানো বোমা হামলায় ৫০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী নিহত হন৷ সাজ্জাদসহ আরেক বাংলাদেশি এতে আহত হন৷ তাঁরা এখন জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার কাছে রয়েছেন৷ তাঁদের বাংলাদেশে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে৷
সাজ্জাদের ভাই একতার মোল্লা বলছেন, ‘‘বিদেশে গিয়ে পরিবারের জন্য অর্থ আয় তাঁর স্বপ্ন ছিল৷ আমরা এখনও জানিনা, আবার কখন সে ঠিকমতো কথা শুনতে ও হাঁটতে পারবে৷''
২০১১ সালে গাদ্দাফির পতনের পর লিবিয়ায় এখনও অস্থিরতা বিরাজ করছে৷ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন পেয়ে একটি সরকার ত্রিপোলির দায়িত্বে রয়েছে৷ তবে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ)৷ সাজ্জাদদের কেন্দ্রে হামলার ঘটনা এই যুদ্ধের কারণেই হয়েছে৷
জেডএইচ/ডিজি (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)