‘শরণার্থী সংকটে এক কাতারে জার্মানি-বাংলাদেশ'
১৩ অক্টোবর ২০১৮‘মাইগ্রেশন- চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অ্যাপ্রোচেস ইন দ্য ইস্ট অ্যান্ড দ্য ওয়েস্ট' শীর্ষক এক সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী এবং ডয়চে ভেলের এশিয়া বিভাগের প্রধান দেবারতি গুহ৷
ইনেস পোল বলেন, ‘‘প্রধানত সিরিয়া থেকে প্রায় ১০ লাখ শরণার্থী জার্মানিতে আশ্রয় নিয়েছেন৷ শুরুর দিকে সব ঠিক থাকলেও পরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়৷ এর পেছনে প্রধানত দুটি কারণ রয়েছে৷ প্রথমত, একটি সমাজে অন্য সংস্কৃতির এত মানুষকে একীভূত করা খুব কঠিন একটা কাজ৷ দ্বিতীয়ত, অনেকের মনে উগ্রপন্থা ছড়িয়ে পড়ার ভয়ও ঢুকে গেছে৷''
পোল মনে করেন, বাংলাদেশেও শুরুতে রোহিঙ্গাদের স্বাগত জানালেও, এখন সামাজিক-রাজনৈতিক নানা কারণে বিরুদ্ধ মনোভাব তৈরি হয়েছে৷
<iframe src="https://www.facebook.com/plugins/video.php?href=https%3A%2F%2Fwww.facebook.com%2Fdw.bengali%2Fvideos%2F159470851659100%2F&show_text=0&width=560" width="650" height="315" style="border:none;overflow:hidden" scrolling="no" frameborder="0" allowTransparency="true" allowFullScreen="true"></iframe>
ইনেস পোলের সাথে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে আসা ডয়চে ভেলের এশিয়া বিভাগের প্রধান দেবারতি গুহ এ বিষয়ে বেশ কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেন৷ তিনি বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খাবার হিসেবে চাল, ডাল ও তেল দেয়া হয়৷ কিন্তু কোনো ধরনের মাছ বা মাংস তাঁরা পায় না৷ ফলে কিছু চাল-ডাল স্থানীয় বাজারে অল্প দামে বিক্রি করে তাঁরা সে টাকা দিয়ে মাছ-মাংস কেনে৷ ফলে সেই অঞ্চলে এক ধরনের সমান্তরাল অর্থনীতির সৃষ্টি হয়েছে৷''
পাশাপাশি, ক্যাম্প অঞ্চলে স্থানীয় বাংলাদেশিদের তুলনায় রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় স্থানীয়রাই সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছেন বলে মনে হয়েছে তাঁর৷ এর ফলে স্থানীয়রা এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও মনে করেন দেবারতি৷
<iframe src="https://www.facebook.com/plugins/video.php?href=https%3A%2F%2Fwww.facebook.com%2Fdw.bengali%2Fvideos%2F642940382770030%2F&show_text=0&width=600" width="650" height="315" style="border:none;overflow:hidden" scrolling="no" frameborder="0" allowTransparency="true" allowFullScreen="true"></iframe>
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে ‘শরণার্থী' স্ট্যাটাস না দেয়ায় অনেক সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন পোল৷ তিনি বলেন, ‘‘এখানে সবাই মনে করছে রোহিঙ্গারা খুব স্বল্প সময়ের জন্যই বাংলাদেশে থাকবে৷'' এমন দৃষ্টিভঙ্গি রোহিঙ্গাদের জন্য ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেন তিনি৷
তবে তৌফিক ইমরোজ খালিদী এমন অবস্থা সৃষ্টির জন্য দায়ী করেন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিকে৷ একদিকে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগে ব্যর্থতা, অন্যদিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির দেউলিয়াত্বের কথাও তুলে ধরেন তিনি৷
তিনি বলেন, ‘‘রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের সাথে জানুয়ারি মাসে চুক্তি হলেও এখনো কোনো প্রক্রিয়াই শুরু হয়নি৷ বাংলাদেশ আট হাজার শরণার্থীর তালিকাও দিয়েছে মিয়ানমারকে৷ কিন্তু মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার পরিস্থিতিই এখনো সৃষ্টি হয়নি৷ মিয়ানমার সত্যিকার অর্থে চালায় ইউনিফর্মধারীরা (সেনাবাহিনী)৷ এবং তাঁদের আইনের শাসন সম্পর্কে ন্যূনতম শ্রদ্ধা নেই৷''
এডিকে/এসিবি