1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শরণার্থীদের সুষম বণ্টন চান ম্যার্কেল

২৯ আগস্ট ২০১৭

সিরীয় শরণার্থীদের জন্য ২০১৫ সালে জার্মান সীমান্ত খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের পক্ষে আবারো নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোকেও শরণার্থীদের প্রতি সদয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি৷

https://p.dw.com/p/2j07I
ZDF-Sommerinterview mit Merkel
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Roehr/ZDF

রবিবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ম্যার্কেল জানিয়েছেন, দু'বছর আগে যুদ্ধবিগ্রহ থেকে বাঁচতে ইউরোপে আসা সিরীয় এবং অন্যান্য দেশের শরণার্থীদের জার্মানিতে আশ্রয় দেয়ার যে সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন তা সঠিক ছিল৷ ভবিষ্যতে একইরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তিনি ২০১৫ সালে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর পুনরাবৃত্তি করবেন বলেও জানিয়েছেন ম্যার্কেল৷

তবে তিনি এটাও স্বীকার করেছেন যে সেসময়কার ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন তখনকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপযুক্ত ছিল না৷ তথাকথিত ‘‘ডাবলিন রেগুলেশনের'' সমালোচনা করেছেন তিনি৷ এই আইন অনুযায়ী, একজন শরণার্থী প্রথম ইউরোপের যে দেশে প্রবেশ করেছেন সেদেশে তাঁর নিবন্ধন বাধ্যতামূলক ছিল৷

‘ভেল্ট আম সোনটাগ' পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ম্যার্কেল শরণার্থী ইস্যুতে গ্রিস এবং ইটালির উপর বাড়তি চাপের কথাও স্বীকার করেন৷ শরণার্থীরা সাধারণত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে এই দেশ দু'টোতে প্রথমে প্রবেশ করেন এবং ‘‘ডাবলিন রেগুলেশন'' অনুযায়ী তাদের সেখানেই নিবন্ধন করতে হয়৷ ম্যার্কেল এই বিষয় বলেন, ‘‘এটা অগ্রহণযোগ্য যে গ্রিস এবং ইটালিকে এই বাড়তি চাপ সহ্য করতে হবে শুধুমাত্র এই কারণে যে ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী সেখানে শরণার্থীরা প্রথমে পা রাখছেন৷''

বরং শরণার্থীদের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সুষম বণ্টন হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি৷

বলা বাহুল্য, অতীতে কোটা পদ্ধতিতে শরণার্থীদের বন্টনের চেষ্টা করা হলে তা বিপুল বাধার মুখে পড়ে৷ পোল্যান্ড এবং হাঙ্গেরির মতো পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো এই বিষয়ে বিপরীত অবস্থান গ্রহণ করে৷

এদিকে, কোনো কোনো শরণার্থী রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণের পর নিজ দেশে ছুটি কাটাতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন৷ বিষয়টির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ম্যার্কেল এমন শরণার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান৷ তিনি বলেন, ‘‘আপনি যে দেশে নির্মমতার শিকার হয়েছেন সেদেশে ছুটি কাটাতে যাওয়াটা গ্রহণযোগ্য নয়৷'' এ রকম পরিস্থিতিতে অনুমোদিত রাজনৈতিক আবেদন পুর্নমূল্যায়ন করা যেতে পারে বলেও মত দিয়েছেন টানা তিনবার ক্ষমতায় থাকা এই জার্মান চ্যান্সেলর৷

এআই/ডিজি (কেএনএ, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য