1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শান্তি ফেরার বিষয়ে আশাবাদী শলৎস

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২

আলোচনার মাধ্যমেই শান্তি ফিরবে বলে আশা প্রকাশ করলেন জার্মান চ্যান্সেলর। এর আগে ফরাসি প্রেসিডেন্ট একথা বলেছিলেন।

https://p.dw.com/p/46mYd
ওলাফ শলৎস
ছবি: Michele Tantussi/Getty Images Europe/Pool/dpa/picture alliance/

সম্প্রতি ওয়াশিংটন থেকে ঘুরে এসেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। ইউক্রেন সংকট নিয়ে বাইডেনের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। দেশে ফিরে আলোচনা করেছেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। তারপরেই তিনি জানিয়েছেন, যুদ্ধের যে আবহ তৈরি হয়েছিল, তা খানিকটা কেটেছে বলেই তিনি মনে করছেন। আলোচনার মাধ্যমেই ইউক্রেন সংকটের সমাধানসূত্রে পৌঁছানো যাবে বলে তিনি আশাবাদী।

যদিও একইসঙ্গে শলৎস জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর সময় এখনো আসেনি। পরিস্থিতি এখনো যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়ে আছে। প্রশমনে আরো অনেক সময় লাগবে। তবে শান্তিপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে আশাবাদী তিনি।

কীভাবে সম্ভব হলো

শলৎসের বক্তব্য, পশ্চিমা দেশগুলি একসঙ্গে এই সংকটের মোকাবিলা করেছে। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেভাবে সকলে মিলে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরোধিতা করেছে, তা মস্কোকে খানিকটা ব্যাকফুটে নিয়ে গেছে বলে তিনি মনে করেন। নিষেধাজ্ঞার হুমকি এখনো আছে। এরপরেও যদি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করে, তাহলে তাদের কড়া নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

শলৎসেরমতে, সকলে একসঙ্গে এই সংকট কাটানোর চেষ্টা করেছে। এবং তাতেই খানিকটা লাভ হয়েছে। বস্তুত এর আগে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ একই কথা বলেছিলেন। মাক্রোঁ রাশিয়া এবং ইউক্রেন সফর করেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে লম্বা বৈঠক করেন তিনি। সেখান থেকে ফিরে এসে মাক্রোঁ জানান, আলোচনার রাস্তা তৈরি হয়েছে।

শলৎস জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে তিনিও রাশিয়া এবং ইউক্রেনে সফর করবেন। বৈঠক করবেন দুই দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। শলৎস বলেছেন, এখনো অনেক আলোচনা বাকি আছে।

রাশিয়া এবং ইউক্রেনের বক্তব্য

রাশিয়া এবং ইউক্রেন কোনো দেশই এখনো একে অপরকে বিশ্বাস করতে পারছে না। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্টই জানিয়েছেন, পশ্চিমা দেশগুলির কূটনৈতিক পদক্ষেপ আলোচনার রাস্তা কিছুটা হলেও তৈরি করেছে। কিন্তু এখনো রাশিয়ার এক লাখ সেনা ইউক্রেনের সীমান্তে দাঁড়িয়ে। ফলে উত্তেজনা কমে গেছে, বা আলোচনার রাস্তা তৈরি হয়ে গেছে, এমন ভাবার কারণ নেই। তবে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক আলোচনায় লাভ হয়েছে বলেই মনে করছে ইউক্রেন।

রাশিয়া প্রথম থেকেই বলছে, তারা যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনের সীমান্তে সেনা পাঠায়নি। আত্মরক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলি তাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছে বলে অভিযোগ রাশিয়ার। সাম্প্রতিক আলোচনার পর রাশিয়াও জানিয়েছে, আলোচনার মাধ্যমেই তারা সমস্যার সমাধানসূত্র খুঁজতে চায়। তবে সেখানে রাশিয়ার স্বার্থও দেখতে হবে বলে জানিয়েছে তারা। সমাধানসূত্রে পৌঁছানো খুব সহজ হবে না বলেও জানিয়েছে ক্রেমলিন।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)