শান্তিতে নোবেল পেলেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী
১১ অক্টোবর ২০১৯১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত দুই দেশের সীমান্তে যুদ্ধ হয়েছিল৷ এর পর তাদের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক ছিল৷ প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলীর উদ্যোগের কারণে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার মধ্যে সম্পর্ক পুনস্থাপিত হয়৷
৪৩ বছর বয়সি সেনাবাহিনীর সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা আহমেদ ২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন৷
নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি বলছে, দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি ইরিত্রিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দ্বন্দ্ব নিরসনে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করেন৷ ‘‘প্রতিবেশী দেশগুলোর শান্তি প্রক্রিয়ায় তাঁর অবদান রাখার বিষয়টি আমরা খেয়াল করেছি,’’ বলেন নোবেল কমিটির প্রধান বেরিট রিস-অ্যান্ডারসেন৷ তিনি বলেন, আহমেদ সুদান, কেনিয়া ও সোমালিয়ায় ভূমিকা রেখেছেন৷
ইথিওপিয়ার প্রথম ব্যক্তি হিসেবে নোবেল পেলেন আহমেদ৷
‘স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট’ বা সিপ্রির পরিচালক ড্যান স্মিথ আহমেদের নোবেল পাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক রাজনীতির একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার শান্তি চুক্তিতে পৌঁছা৷’’
‘‘জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত,’’ এক টুইটে লিখেছে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়৷
সুইডেনের ১৬ বছর বয়সি গ্রেটা টুনব্যার্গ এবার শান্তিতে নোবেল পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন৷ তার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে নোবেল কমিটির প্রধান বলেন, ‘‘যিনি কখনো নোবেল পাননি... বা বাজিকররা যাদের নিয়ে বাজি ধরে, তাদের নিয়ে আমরা কখনও মন্তব্য করিনা৷’’
জেডএইচ/কেএম (রয়টার্স)
২০১৭ সালের ৬ অক্টোবরের ছবিঘরটি দেখুন...