‘শিশু ধর্ষককে নপুংসক করা হোক'
১২ জুন ২০১৬৩০ বছর বয়সি হাকলেকে সোমবার এই শাস্তির আদেশ দেন আদালত৷ শাস্তি কার্যকর হবে গ্রেপ্তারের দিন থেকে৷ এই আদেশের পর মালয়েশিয়ার সমালোচনা এখন তুঙ্গে এই নিয়ে যে, প্যারোলে যদি হাকলে মুক্তি পায় তবে আরো অনেক শিশুর জীবন হুমকির মুখে পড়বে৷ তারা সবাই বলছে, এই শাস্তি নিতান্তই কম হয়েছে তার জন্য৷ উচিত ছিল তাকে খোজা করে দেয়া বা মৃত্যুদণ্ড দেয়া৷
মালয়েশিয়ার শীর্ষ দৈনিক পত্রিকা দ্য স্টারে বলা হয়েছে, ১৯১ শিশু যার লালসার শিকার, ২৪ বছর পরেই সে বেরিয়ে এসে ঠিক একই কাজ করবে৷ আর একটি পত্রিকা বলছে ১,০০০ বছরের কারাদণ্ডও তার জন্য যথেষ্ট নয়৷
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে শিক্ষার্থী ও আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করা হাকলে শিশুদের ছবি তুলতো৷ এ কাজ করার সময় ৭১ জন শিশুকে নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে সে৷ ২০১৪ সালে বড়দিন উদযাপন থেকে মালয়েশিয়া ফেরার সময় লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে৷
পুলিশ হাকলের ল্যাপটপ এবং ক্যামেরায় ২০,০০০ স্থির চিত্র খুঁজে পায়, যেখানে শিশুদের যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের ছবি রয়েছে৷ সেখানে ১৯১ জন শিশুর ছবি পাওয়া গেছে৷ ল্যাপটপে একটি ম্যানুয়েলে লেখা আছে, যার শিরোনাম ‘‘পেডোফিলড অ্যান্ড পোভারটি: চাইল্ড লাভার গাইড''৷
মালয়েশিয়ার শিশু অধিকার কর্মী শর্মিলা শেকারান এ রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ তার জিজ্ঞাস্য-হাকলের বয়স এখন মাত্র ৩০, ২৪ বছর পর তার বয়স হবে পঞ্চাশোর্ধ্ব৷ তখন যে সে এমন কর্মকাণ্ড করবে না তা নিশ্চিত করে কে বলতে পারে! তবে এই ঘটনায় মালয়েশিয়ার শিশু প্রতিরোধ আইন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে৷
এদিকে হাকলের এই রায়ের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার নাগরিকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন৷
মালয়েশিয়া নিউজ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এই ঘটনার উপর, যেখানে বলা হয়েছে মালয়েশিয়ার মানুষ হাকলের আরো কঠোর শাস্তি চায়৷
বিবিসির প্রতিনিধি বেন আনডো টুইটারে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন৷
এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)
ধর্ষক, বিশেষ করে যে শিশুকে ধরষণ করেছেন, তাকে কি নপুংসক করে দেওয়া উচিত? জানান মতামত৷