আরো অনেকের ভিডিও এখন ইউটিউবে
১৫ জুলাই ২০১৫১৩ বছর বয়সি শিশু সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় সিলেটে৷ নির্যাতনের সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর তোলপাড় সৃষ্টি হয় গোটা বিশ্বে৷ ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে রাজন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহভাজন কয়েকজন৷ একজনকে সৌদি আরবে গ্রেপ্তারের পর বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে৷
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে ইংরেজিতে #জাস্টিসফররাজন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে অনেকেই রাজন হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন, দাবি করেছেন খুনিদের বিচার৷ ডয়চে ভেলের তরফ থেকে পরীক্ষিত কয়েকটি টুইট দেয়া হলো এখানে:
আরো ভিডিও প্রকাশ
এদিকে, রাজনের ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশের পর শিশু নির্যাতনের আরো কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে ইন্টারনেটে৷ নোয়াখালিতে একটি শিশুকে পেটানোর ভিডিও ইউটিউব এবং ফেসবুকে ট্রেন্ড করছে৷
দু'দিন আগে প্রকাশ হওয়া ভিডিওটি ঠিক কবে রেকর্ড করা হয়েছে জানা যায়নি৷ তবে ফেসবুকে গত দু'দিনে সেটি শেয়ার হয়েছে কমপক্ষে দু'হাজার বার৷
ওদিকে, ফেসবুক আলোচনায় বাংলাদেশে অন্যান্য শিশু নির্যাতনের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে, যেগুলোর কোনো ভিডিও নেই৷ তথ্য প্রযুক্তিবিদ ফাহিম মাশরুর মঙ্গলবার লিখেছেন, ‘‘আচ্ছা, ত্বকীকে যখন ধরে নেওয়া হলো, তখন ত্বকী কী করছিল? সে কি বলেছিল, ‘‘আমাকে প্লিস ছেড়ে দাও, আমি বাসায় যাব, আম্মুর কাছে যাব?'' ওকে যখন ঠান্ডা মাথায় গুলি করা হলো, তখন কি ও বলেছিল ‘‘আমাকে মেরো না প্লিস...আমি বাঁচতে চাই?''
তিনি লিখেছেন, ‘‘আমরা কেও জানি না ত্বকী আসলে কী বলেছিল! কেননা ওখানে কেউ ভিডিও করেনি, আর সেটি কেউ ফেসবুকে ছেড়ে দেয়নি৷ আর এ জন্যই ত্বকীর আর্তনাদ বাতাসে মিশে গেছে৷ ত্বকীর খুনিরা ধরা-ছোয়ার বাহিরে আছে, বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে!''
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর পরিসংখ্যান বিষয়ক সাইট ‘টপসি' ডটকমে প্রকাশিত হিসেবে অনুযায়ী, #জাস্টিসফররাজন হ্যাশট্যাগটি টুইটারে ব্যবহার হয়েছে কমপক্ষে দু'হাজারবার৷ এছাড়া ইন্সটাগ্রামেও হ্যাশট্যাগটি ব্যবহার করে রাজন হত্যার বিচার দাবি করেছেন অনেকে৷
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ