শেয়ারবাজারে মনোযোগ দিন, প্রধানমন্ত্রী!
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯এ সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ডিএসইএক্স কমেছে ৭৫ পয়েন্ট, অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯৩৩ পয়েন্টে৷ অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২১৪ পয়েন্ট৷
টানা ছয় দিন দরপতনের পর গত ৪ সেপ্টেম্বর ডিএসইএক্স ৫ হাজার পয়েন্টের নীচে নেমে আসে৷ দরপতন ঠেকাতে টেনে তোলা হলো শেয়ারবাজারের সূচক৷ পরদিন ৫ সেপ্টেম্বর ও চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গত রোববার সূচক কিছুটা বাড়ে৷ সোমবার থেকে আবার সূচক কমতে থাকে৷
বাজার বিশেষজ্ঞরা শেয়ারের দাম টানা কমতে থাকার কোনো উপযুক্ত অর্থনৈতিক কারণ ব্যাখ্যা করেছেন এমনটা আমার চোখে পড়েনি৷ একাধিক বিশ্লেষক বলছেন, কারসাজি ছাড়া বাজারের এ হঠাৎ পতনের কোনো যৌক্তিক কারণ নেই৷ কেউ কেউ বলছেন বিদেশি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আবারও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন বলে বাজারে ক্রেতার অভাব৷ এর পাশাপাশি টানা পতনে ভয় পেয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বেচে দিচ্ছেন৷ এর ফলে বাজারে টানা দরপতন চলছে৷
গত কয়েক বছর ধরেই শেয়ারবাজার স্থিতিশীল নয়, যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই কিছুদিন পরপর বাজার উঠছে বা নামছে৷ কোনো কোনো সময় এমনও মনে হচ্ছে কোনো একটি গোষ্ঠী বাজার নামাচ্ছেন বা ওঠাচ্ছেন৷ কম দামে শেয়ার কিনে নেওয়ার জন্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে৷ আবার কিছুদিন পর দাম বাড়িয়ে বেশি দামে শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেওয়া হচ্ছে৷
পুঁজিবাজার ভবিষ্যৎমুখী বিনিয়োগ বলে তারাই সবার আগে অর্থনৈতিক মন্দার আগমনধ্বনি শুনতে পান৷ কোনো কারণে বিনিয়াগকারীরা বুঝতে পারছেন যে, দেশে বিনিয়োগ বা ব্যবসা পরিস্থিতি আশাপ্রদ নয়৷ তাই তারা বাজার থেকে মূলধন তুলে নিচ্ছেন৷ ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্রের সুদের হার দফায় দফায় কমানো হলেও তারা বাজারে টাকা রাখতে বা নতুন করে ঢালতে সাহস পাচ্ছেন না৷
কারসাজি ঠেকাতে আর আস্থা ফেরাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেয়ারবাজারের দিকে নজর দিন৷ আপনার একজন অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি শেয়ারবাজার বোঝেন না৷ এখনকার জন বোঝেন বলেই আমরা জানতাম৷ না বুঝলে আপনি বুঝিয়ে দেন৷ শেয়ারবাজার ঠিক করতে উদ্যোগ নিন৷
উন্নয়নের মহাসড়কের কথা শুনছি আমরা৷ কিন্তু ওই উন্নত পথ ধরে এগিয়ে যাওয়ার চেয়ে এত ঝাঁকুনি লাগছে যে, আমাদের মনে হচ্ছে, এই রাস্তা থেকে প্রাণ নিয়ে নেমে পড়ি৷ অন্যদিকে, এখনই ব্যবস্থা না নিলে ঝাঁকুনি থেকে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে৷