শ্রীলঙ্কায় বাকস্বাধীনতা হুমকির মুখে
৭ এপ্রিল ২০২২নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের মুখে শ্রীলঙ্কায় দেশব্যাপীঅস্থিরতা তৈরি হয়েছে৷ এ অবস্থায় রোববার দক্ষিণ এশীয় দ্বীপরাষ্ট্রটির সামাজিক গণমাধ্যমে ‘ব্ল্যাকআউট' বা অবরোধ আরোপ করা হয়৷
কয়েক ঘণ্টার জন্য টুইটার, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রামে কেউ ঢুকতে পারছিলেন না৷ অর্থনৈতিক সংকটের মুখে দেশজুড়ে সাধারণ জনগণের বিক্ষোভ থামাতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়৷ সামাজিক অস্থিরতা ঠেকাতে এসব উদ্যোগ নেয়া হলেও তা মানুষের বিক্ষোভ থামাতে পারেনি৷ এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেয়ার সমালোচনা হচ্ছে অনেক৷
‘‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের বাধামুক্তভাবে প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে৷ এটা দেশের আরব বসন্তের মুহূর্ত,'' ডয়চে ভেলেকে বলেন শ্রীলঙ্কার সাংবাদিক ফারাজশওকতালি৷
দেশটির অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন সেন্টার ফর ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলরুকশি হান্ডুনেত্তি বলেন, ‘‘গত ২০ বছরে আমরা এমন স্বাধীনতা হরণ ও খুশিমত গ্রেপ্তারের ঘটনা দেখেছি৷ মানুষ শঙ্কার মধ্যে আছেন৷
আন্তর্জাতিক সংস্থা কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস-এর এশিয়া প্রোগ্রাম ডিরেক্টর স্টিভেন বাটলার বলেন, ‘‘শ্রীলঙ্কা তাদের জরুরি অবস্থার সুযোগ ব্যবহার করে যেন ইতিহাসের এমন সন্ধিক্ষণে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ না করে, যখন তথ্যের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি৷''
এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কারস্পেশাল টাস্ক ফোর্স এসটিএফ বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে৷ গত ৩১ মার্চ ছয় জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ আরো অনেককে হেনস্থা করা হয়েছে৷ তারা সরকার বিরোধী সমাবেশ বিক্ষোভ কাভার করছিলেন৷
মুরালি কৃষ্ণান/জেডএ