1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্থিতিশীল ইউরোপের অর্থনীতি

১৩ আগস্ট ২০১৪

একদিকে সংস্কার ও নির্দিষ্ট পদক্ষেপের মাধ্যমে ইউরো এলাকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার উদ্যোগ চলছে৷ অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্য, ইরাক ও ইউক্রেন সংকটের ফলে সে প্রচেষ্টা ঝুঁকির মুখে৷ পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক৷

https://p.dw.com/p/1Ct3b
EZB billiges Geld Symbolbild
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/dpa

ইউরো এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে গত সপ্তাহে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে৷ ডিফ্লেশন-এর মোকাবিলা করতে ইসিবি প্রয়োজনে আরও নোট ছাপতে এবং বন্ড কিনতে প্রস্তুত৷ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ব্যাংকগুলি যাতে বাজারে সহজ শর্তে আরও ঋণ ছাড়তে পারে, আগেই তার ব্যবস্থা করেছে ইসিবি৷ তবে ইসিবি প্রধান মারিও দ্রাগি বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে সার্বিকভাবে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন৷ বিশেষ করে ঘরের কাছে ইউক্রেন সংকট আরও তীব্র হয়ে উঠলে ইউরো এলাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তিনি৷ উল্লেখ্য, ইউরোপ থেকে খাদ্য আমদানির উপর রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞার কুফল এখনই লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ মোটকথা ইউরো এলাকার অর্থনীতির উন্নতির প্রক্রিয়া এখনো দুর্বল, নাজুক ও অসম রয়েছে৷ বিশেষ করে ইটালি ও ফ্রান্সের অর্থনীতি নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন দ্রাগি৷

ইটালির সরকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে একগুচ্ছ পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে৷ বিশেষ করে মাঝারি ও ছোট মাপের প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে, তার জন্য সরকার সহায়ক ভূমিকা পালন করতে চায়৷ উল্লেখ্য, ইসিবি প্রধান মারিও দ্রাগি গত সপ্তাহে অত্যন্ত সরাসরি ইটালির সমালোচনা করেছেন৷ তাঁর মতে, সে দেশ যথেষ্ট সংস্কার চালাচ্ছে না৷

ফ্রান্সে প্রবৃদ্ধির গতি কমেই চলেছে৷ উৎপাদনও কমতির দিকে৷ ফলে রাজস্ব বাবদ সরকারের আয়ও কমবে৷ এমন গভীর সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে সে দেশের সরকার এখনো তেমন জোরালো কোনো কর্মসূচিও পেশ করতে পারছে না৷ একমাত্র স্পেনে শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদনের খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ গ্রিসের সরকারও বাজেট ঘাটতি দূর করে এই প্রথম বড় অঙ্কের সারপ্লাস যোগ করেছে৷

মধ্যপ্রাচ্য, ইরাক ও ইউক্রেনে উত্তেজনা সামান্য কমার ফলে সপ্তাহের শুরুতে ইউরোপের পুঁজিবাজার কিছুটা চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল৷ জাপানের অর্থনীতি সম্পর্কে ইতিবাচক খবরও বাজারকে সন্তুষ্ট করেছে৷

গত সপ্তাহান্তে জার্মানি তথা ইউরোপের অর্থনীতি সম্পর্কেও কিছু ভালো খবর শোনা গিয়েছিল৷ জুন মাসে জার্মানির আমদানি ও রপ্তানির হার বেড়েছে৷ বিশেষ করে আমদানি তথা ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির জন্য ভালো খবর, কারণ এর অর্থ আভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ছে৷ ফলে ডিফ্লেশন বা মূল্যস্ফীতির পড়তি হার কমতে পারে৷ তবে ফ্রান্সের অর্থনীতি সম্পর্কে অত্যন্ত নেতিবাচক পূর্বাভাষ দিয়েছে সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য