1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংঘর্ষ আর বিক্ষোভে উত্তপ্ত গোটা মধ্যপ্রাচ্য

৯ এপ্রিল ২০১১

শুক্রবারের পর শনিবারও উত্তপ্ত গোটা মধ্যপ্রাচ্য৷ লিবিয়া থেকে শুরু করে মিশর, সিরিয়া, ইয়েমেন হয়ে ইরাক পর্যন্ত নানা ঘটনায় এখন উত্তাল হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি৷

https://p.dw.com/p/10qaq
ছবি: dapd

লিবিয়ার জটিল পরিস্থিতি

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গাদ্দাফির সেনা ও তার বিরোধীদের মধ্যে যে যুদ্ধ চলছে তার কোন সমাধান দেখা যাচ্ছে না আপাতত৷ তার মধ্যে ন্যাটো বাহিনীর বিমান হামলায় বিদ্রোহীদের হতাহত হওয়ার ঘটনায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে৷ যদিও এই ঘটনার জন্য ইতিমধ্যে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ন্যাটো মহাসচিব আন্ডার্স ফগ রাসমুসেন৷ এদিকে ইইউর পক্ষ থেকে একটি নতুন উদ্যোগের কথা শোনা যাচ্ছে৷ ইইউ লিবিয়ার যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করতে লিবিয়ায় একটি সামরিক মিশন চালুর চিন্তা ভাবনা করছে৷ এই ব্যাপারে ইইউর পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন ইতিমধ্যে জাতিসংঘ মহাসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন৷ অন্যদিকে লিবিয়াতে একটি প্রতিনিধি দল পাঠাতে যাচ্ছে আফ্রিকান ইউনিয়ন৷ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার কথা রয়েছে মুয়াম্মার গাদ্দাফির সঙ্গে দেখা করার – এমন খবর জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সংবাদ মাধ্যমগুলো৷

Unruhen in Libyen
লিবিয়ার বিদ্রোহীরাছবি: picture alliance/dpa

আবারও উত্তাল কায়রো

অনেকদিন পর আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কায়রোর তাহরির চত্বর৷ শনিবার লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ ঘটে সেখানে৷ তাদের দাবি, ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারককে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে৷ এর আগে শুক্রবার রাতে তাহরির চত্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সেনা জনতার সংঘর্ষে৷ জানা গেছে অন্তত দুই জন নিহত হয়েছে গুলিবিদ্ধ হয়ে, যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একজন নিহতের কথা স্বীকার করেছে৷ তাহরির চত্বর থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে সেনাবাহিনী সাঁজোয়া যান নিয়ে রাতের বেলা হামলা চালায় বলে বার্তা সংস্থাগুলোর খবর থেকে জানা গেছে৷

ইরাকি নেতার হুঁশিয়ারি

এদিকে ইরাকের শিয়া নেতা মার্কিন বাহিনীর প্রতি নতুন করে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন৷ পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইরাক ত্যাগ না করলে তিনি মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণের হুমকি দিয়েছেন৷ এই উপলক্ষ্যে রাজধানী বাগদাদের মুসতানসারিয়াহ চত্বরে হাজার হাজার লোক সমবেত হয়৷ সেখানে শিয়া নেতা মুকতাদা আল সদরের বক্তব্য পাঠ করে শোনানো হয়৷ সদর মার্কিন বাহিনীকে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ইরাক ছেড়ে যাওয়ার জন্য আল্টিমেটাম দেন৷ এর আগে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রবার্ট গেটস জানিয়েছিলেন যে চলতি বছরের শেষেও কিছু সংখ্যক মার্কিন সেনা থেকে যেতে পারে৷ এর পরপরই শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি এই হুঁশিয়ারি বার্তা মুকতাদা আল সদরের৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য