1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তালেবানি শক্তির উত্থানের আশঙ্কা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৮ মে ২০১৩

চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপের আশা ছেড়ে দিয়েছেন বিশ্লেষকরা৷ তারা বলছেন, দু’টি প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কেউ কাউকে ছাড় দেবেনা৷ গত দুই-তিন দিনে তা পরিষ্কার হয়ে গেছে৷ তাই আরো চরম সংঘাত-সংঘর্ষ অনিবার্য৷

https://p.dw.com/p/18aL5
ছবি: Reuters

এই অবস্থায় বাংলাদেশে মৌলবাদী বা তালেবানি শক্তির উত্থানের আশঙ্কা করছেন তারা৷

গত সপ্তাহে জাতিসংঘের রাজনীতি বিষয়ক সহকারী মহাসচিব অসকার ফার্নান্দেজ তারানকোর ঢাকা সফর আশার আলো জাগিয়েছিল৷ ধারণা করা হয়েছিল জাতিসংঘ মহাসচিবের এই বিশেষ দূতের দূতিয়ালি হয়তো কাজে দেবে৷ রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপ হবে প্রধান দুই দলের মধ্যে৷ দুই বড় রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে সেরকম আভাসও পাওয়া গিয়েছিল৷ কিন্তু সে আশা গত ২/৩ দিনের ঘটনা প্রবাহে নিরাশায় পরিণত হয়েছে৷ সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধী দলকে চিঠি দেয়ার যে কথা বলা হয়েছিল, তা আর দেয়া হবেনা৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন সংসদ ছাড়া আর কোথাও আলোচনা নয়৷ বিরোধী দল তাদের দাবি নিয়ে সংসদে গিয়ে কথা বলতে পারে৷ বাজেট অধিবেশেনে বিরোধী দল সংসদে যোগ দেবে তা নিশ্চিত করেছেন বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ৷ তবে তারা সংসদে থাকবেন না৷ তারা সদস্যপদ রক্ষায় সংসদে যাচ্ছেন৷ বিএনপি আবারো বলেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানলেই তারা আলোচনায় বসবে, অন্যথায় নয়৷

Bangladesch Proteste Jamaat-e-Islami
সামনের দিনগুলোতে সংঘাত বাড়ার আশঙ্কাছবি: Reuters

এই পরিস্থতিতে আতঙ্কিত রাজনীতি বিশ্লেষক ড. বদিউল আলম মজুমদার৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, সংলাপের আর কোনো সম্ভাবনা তিনি দেখেন না৷ তিনি মনে করেন এখন দুটি বড় রাজনৈতিক দল রাজপথে শক্তি প্রদর্শনের আরো বড় মহড়ায় নামবে৷ এই মহড়ায় ব্যবহার হবে পেশি শক্তি৷ আর এই পেশি শক্তির ব্যবহার করতে গিয়ে দুটি দলই মৌলবাদীদের ব্যবহার করবে৷ যার আলামত এরই মধ্যে দেখা গেছে৷ আর তাতে বাংলাদেশে তালেবানি শক্তির উত্থানের আশঙ্কা আছে৷

বাংলাদেশের রাজনীতির আরেক বিশ্লেষক আফসান চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে বলেন, দুই দল কোনোভাবেই কাউকে ছাড় দিচ্ছেনা৷ অথচ জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূতের ঢাকা সফরের সময় তারা কথা-বার্তা এবং আচরণে সংলাপের কথাই বলেছে৷ তাই দেশের মানুষও আশা করেছিল হয়তো সংলাপ হচ্ছে৷ কিন্তু দুই দলের শীর্ষ নেতাদের গত দুদিনের কথা ও আচরণে মনে হয়েছে তারা সংলাপের ধারে কাছেও নেই৷ এতে মানুষ হতাশ হয়েছে৷ দেশের মানুষ আসলে শান্তি চায়৷ আর সেকারণেই সংলাপ চায়৷ কিন্তু দেশের মানুষের প্রত্যাশা রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রভাবিত করেনা৷

আফসান চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক সংকটের সমাধান রাস্তায় হয়না৷ আর রাজনীতি যদি রাস্তায় ক্ষমতা প্রদর্শনের নীতিতে এগোয় তাহলে দেশ আরো চরম সংকটে পড়বে৷ তিনি মনে করেন তাতে ব্যাপক রক্তপাত হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য